Header Ads

কবিতা - ভ্রান্তি, কবি - ইমরান শাহ্ ( বাংলাদেশ)

 


ভ্রান্তি 

ইমরান শাহ্ 

বাংলাদেশ


রাত গভীর হলেই বুকের বা-পাশে

বেজে ওঠে সেই অনবদ্য অর্গান

বিমোহিত সুরে কে_যেন ডাকে

ছায়া নাকি কোন অশরীরী? 


আঁতকে উঠি সারা ঘরময় খুঁজি

জানালায় উঁকি দেই ঘুমের ঘোরে 

কে-হে অচেনা বাদক, কেন জ্বালাও

কেন করো বারে-বারে নিদ্রাহত!


ভোর হতেই নিজেকে নিজে মাপি

চা-চুমুকে পাই সেই-সে ঘ্রাণ 

চন্দ্রমুখ, ওষ্ঠাদেশ চায়ের ভাঁড়ে ভাসে

তবে কি সেই তুমি?


না-না আত্মচিৎকারে সম্বিত এলে

মনের ভুল ভেবে মনোনিবেশ করি...

লেখার খাতায়, দৈনন্দিন কাজে, কতকিছুতে;

নিজেকে সান্ত্বনা দেই অবিরত। 


তাকে_তো ফেলে এসেছি কবে

মহুয়ার পালা, জারি-সারি গানে

সে-তো আসার কথা নয় আর...

স্বপ্নে অথবা নিগূঢ় বাস্তবে।।


পরিচিতি: 

ইমরান শাহ্ একবিংশ শতাব্দীর একজন বাঙ্গালী কবি ও সাহিত্যিক এবং নাট্যব্যক্তিত্ব। ২০০০ সালে খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন রচিত কানা বগীর ছা ছড়া অবলম্বনে ট্রান্সফরমা ছড়া রচনা করেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এক সাহিত্য আসরে স্যার আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ ও দৈনিক সংবাদ পত্রিকার চিফ রিপোর্টার এবং মাধ্যমিক শিক্ষক আফজাল হোসেন ( নিপু ) কর্তৃক অনুপ্রেরণায় পুরোদস্তুর লিখতে শুরু করেন।সে বছরেই নারায়ণগঞ্জের প্রাত্যহিক পত্রিকা ইহকাল এ প্রথম কবিতা প্রকাশ পায় । তিনি এ পর্যন্ত বহু কালজয়ী নাটক ,কবিতা, গানের রুপকার । কিন্তু ব্যাপক ভাবে বলতে গেলে তিনি বিংশ শতাব্দীর একজন উদীয়মান কবি ,গীতিকার ও সাহিত্যিক। বর্তমানে যে কজন কবি সাহিত্যিকদের হাত ধরেই মধ্যযুগের গণ্ডি পেড়িয়ে বাংলা কবিতা আধুনিকতার পথে নাগরিক রূপ পাচ্ছে তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম । তিনি নাট্যনায়ক থিয়েটার (নাট্যগোষ্ঠী) নাটকের দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। বাবা রফিকুল আলম আলতাফ এক সময়ের বিখ্যাত নাট্যকর্মী ছিলেন।বাবার মুখে অভিনয়ের গল্প শুনেশুনে নাটকটা যে প্যাথডিনের মত রক্তে মিশে গেছে বুঝতেই পারেননি। ২০০৬ সালে ছাত্র থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম শিল্পীকলার নাট্যব্যক্তিত্ব আলোক মাহমুদের সমীকরণ থিয়েটারে যোগ দেন। ট্যাংক রহস্য, ময়না,The Warrior,সম্পর্কের আবর্তে, ঘর জামাই,বীরাঙ্গনার বয়ান সহ অর্ধ শতাধিক নাটকে অভিনয় করেন। নাট্যবন্ধু আশিকুর রহমানকে নিয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে বিন্দু বিকাশ থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন।বর্তমানে ঢাকায় নিজস্ব থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন থিয়েটারে পার্টটাইম সময় দিচ্ছেন । সুর অঙ্গন,আবৃত্তি ও লেখা (কলকাতা)এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ।বাংলা কাব্য পরিবারের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তাছাড়াও আন্তর্জাতিক কবি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১৭ সালে শিলচরের অন্যতম কবি যুথিকা দাস ও তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্ববাংলা সাহিত্য নিকেতন (সাহিত্য সংগঠন)অনলাইন ও অফলাইন সাহিত্য গ্রুপ।বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ,জাতীয় লেখক সোসাইটি, খেলাঘর, কবি সংসদ বাংলাদেশ, নারায়ণগঞ্জের কাঁচা মাটির আসর ও হলি উইলস স্কুল সাহিত্য আসরে বিশেষ সদস্য ও সম্মানিত পদে অধিষ্ঠিত আছেন।এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে বিশেষ অবদানে এ যাবত অসংখ্য সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করছেন ২০০৮ থেকে অদ্যাবধি। অনলাইন ও অফলাইন ইশতাধিক সাহিত্য সংগঠন, সাংস্কৃতিক পরিষদের সাথে যুক্ত। নিয়মিত ম্যাগাজিন ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় লেখকের লেখা ছাপা হয় প্রায় প্রতিনিয়তই ।পশ্চিমবঙ্গ লিটল ম্যাগ, ই ম্যাগ,ওয়েব পেইজ,ব্লগ ও পত্রিকায় ও অনেক লেখা ছাপা হয়েছে,হচ্ছে। শব্দ শ্রমিক বা শব্দ তরীর মাঝি বলে তিনি বহুল খ্যাত।তবে ব্যাক্তিগত ভাবে বাংলাদেশের যুগান্তকারী সংগঠন রেনেসাঁ 'র সংগঠক ও গীতিকার, কবি ইসলামী সংগীত শিল্পী তার প্রিয় ইংরেজী শিক্ষক মরহুম জয়নাল স্যারকে নিজের অনুপ্রেরণার পাথেয় ভাবেন।

জন্ম ১৯৮৮

জাতিসত্তা বাঙালি

জাতীয়তা বাংলাদেশী 

যে জন্য পরিচিত

বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক এবং নাট্যব্যক্তিত্ব 

জন্ম এ পারিবারিক পরিচিতি

জন্ম: ১৯৮৮ সালের ২৭ জানুয়ারি বরিশালের ঝালকাঠি জেলায় নানা বাড়িতে।পাশ্ববর্তী জেলার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় পৈতৃক ভিটা।একসময় জমিদার পূর্বপুরুষ বংশধর আকন গোষ্ঠীতে জন্ম। তাঁর প্রপিতামহ ছিলেন একজন কৃষক এবং তাঁর পিতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারিতে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। পরে কিছু কুচক্রী মানুষের চক্রান্তে সেনাবাহিনী থেকে সেচ্ছায় চলে আসেন। মায়ের নাম হুরিয়া বেগম।তিনি একজন গৃহিণী। ৪ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনিই সবার বড়।২০১২ শেষের দিকে পড়ালেখা শেষ হলে চট্টগ্রাম ছেড়ে আসেন।চট্টগ্রাম তার প্রাণের শহর। 


শিক্ষা জীবন ও কর্ম জীবন:

গৌরীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবন শুরু। সেখানে মিজু স্যার ও মরহুম রাজা স্যার তার প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীতে বাবার চাকরি সুবাধে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ঢাকায় চলে আসেন। শিমরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় আবার পড়ালেখা শুরু করেন।মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ম্যাট্রিক পাশ করেন।পরবর্তীতে ইন্টারমিডিয়েট ঢাকা সিটি কলেজ। কিন্তু তার প্রবল ইচ্ছা ছিল নাটক ও নাট্যতত্ত্বে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবেন।কিন্তু বাবার ইচ্ছা পূরণে প্রকৌশল বিভাগে চট্টগ্রামে পড়াশুনা শুরু করেন ।সর্বশেষ যন্ত্রকৌশল বিভাগে প্রকৌশল অধ্যায়ন শেষ করেন।বর্তমানে দেশের স্বনামধন্য আরবাব গ্রুপে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ২০১৩ থেকে এখন অবধি কর্মরত আছেন ।স্থায়ী ভাবে এখন তিনি ঢাকাতেই বসবাস করছেন।অবসর সময় কাটে বই পড়ে।কাজী নজরুল ইসলাম, সতেন্দ্রনাথ দত্ত,মীর মোশারফ হোসেন, মধুসূদন,শরৎচন্দ্র সহ বিখ্যাত- অখ্যাত লেখকদের রচনা সমগ্র পড়তে ভালবাসেন।তিনি সাহিত্য আলোচক, সমালোচক হিসেবে বিভিন্ন সাহিত্য আসরে দায়িত্ব পালন করেন।পাশাপাশি নাট্য নির্দেশনার দিয়ে থাকেন।


সাহিত্যিক জীবন সাহিত্যকীর্তি:

 তিনি সবসময় ইংরেজি প্রভাব বর্জিত খাঁটি বাংলা শব্দ ব্যবহার করেন।এবং বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে ওতপ্রোত জড়িত। একদিকে মধ্যযুগের দেবমাহাত্ম্য ব্যঞ্জক বিষয় থেকে বাংলা কবিতাকে মুক্ত করতে তার অবিরাম প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।'

উল্লেখযোগ্য নাটক ও কবিতা

নাটক) খেরো পাতার জীবন, ময়না (দ্বৈত রচনা), পা, বদি মিয়ার ছাগল ইত্যাদি।

কবিতা) বিডিআর বিদ্রোহ, কালরাতি,তোমার জন্য,আমি রাসেল বলছি সহ সহস্রাধিক কবিতা তার ঝুলিতে রয়েছে।

উপন্যাস) জেনেভা ক্যাম্প, বীর ৭১, অতঃপর প্রেম, সুহাসিনী

এসব ছাড়া গান ,পুথি, কথোপকথন সোজা কথা সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিচরণ করতে চান অবাধে। কবির ইউটিউবে একটি চ্যানেল আছে যার নাম কবিতা কথন ( Kobita Kathon) উপমহাদেশের বিখ্যাত আবৃত্তি শিল্পীরা লেখকের কবিতা পাঠ করে থাকেন।লেখক নিজেও আবৃত্তি করে থাকেন।

প্রিয় উক্তিঃ - যদি ভালবাসা পাই সমুদ্দুর হবো, প্রত্যেক মানুষ সমান কিন্তু রক্ত সমান না। সুন্দরের একটা সীমা থাকা দরকার। তাঁর মতে, দু শ্রেণীর মানুষ কখনো উন্নতি সাধন করতে পারবে না 

 যার চোখ সুন্দর 

এবং 

যে নিজেই জানেনা আসলে সে কি চায়।


No comments

Powered by Blogger.