শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি, লেখক - মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল কাবিলপুর, মুর্শিদাবাদ
শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি
মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল
কাবিলপুর, মুর্শিদাবাদ
বিভিন্ন পেশাজীবীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। দাবি দাওয়া আদায়ে সকল দেশে সকল যুগে কৃষক আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, শিক্ষক আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত হতে দেখা গেছে। কিন্তু 'ছাত্র রাজনীতি' শব্দবন্ধ যেভাবে চালু রয়েছে সেভাবে শিক্ষক, শ্রমিক অথবা কৃষক-এর সাথে 'রাজনীতি'কে সংযুক্ত হতে দেখা যায় না। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ 'ছাত্র সংসদ'। কলেজ-ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারা ছাত্র সংসদ গঠন করেন। ছাত্র রাজনীতি বেশ পুরনো ব্যাপার হলেও ছাত্র সংসদ গঠনের ইতিহাস তুলনামূলকভাবে নতুন বিষয়। ছাত্রসমাজ কর্তৃক শিক্ষা-সংস্কৃতি সংক্রান্ত ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কর্মসূচি গ্ৰহণ ও কর্মকাণ্ড পরিচালনাকেই সাধারণভাবে ছাত্র রাজনীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের নানাবিধ বিষয় নিয়ে কলেজ-ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ ছাত্র রাজনীতির পরিচিত পরিসরের অন্তর্ভুক্ত। তবে ছাত্র রাজনীতিকে বৃহত্তর রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে রাজপথেও বিস্তার লাভ করতে দেখা যায় যদিও ছাত্র সংসদের কার্যক্রম সাধারণত সংশ্লিষ্ট কলেজ-ইউনিভার্সিটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। ছাত্র রাজনীতি কৈশোর ও তারুণ্যের ছেলেমেয়েদের মধ্যে গণতান্ত্রিক ভাবধারা ও মতাদর্শের ধারণা, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা এবং রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
বাংলায় ছাত্র রাজনীতির একটা উজ্জ্বল অতীত রয়েছে। ঊনবিংশ শতকের বিশ-তিরিশের দশকে হিন্দু (প্রেসিডেন্সি) কলেজের অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও (১৮০৯-১৮৩১) তাঁর অনুগামী একদল পড়ুয়া নিয়ে গঠন করেন ইয়ং বেঙ্গল। হিন্দু সম্প্রদায়ের সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার সাধনে ইয়ং বেঙ্গল আলোড়ন সৃষ্টিকারী ভূমিকা পালন করে। বিশ শতকের প্রথম পাদে বিপ্লবী তথা সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতি একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পরিগ্রহ করে। ১৯২৮ সালে কংগ্রেসের উদ্যোগে গঠিত হয় নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতি। ১৯৩২ সালে গঠিত হয় নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্র সমিতি। ১৯৩৬ সালে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন সর্বভারতীয় ছাত্র ফেডারেশনের (এ আই এস এফ) গঠিত হয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্ররা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪২ সালে 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনে ছাত্র সমাজ মুখর ছিল। ১৯৪৫-৪৬ সালে আজাদ হিন্দ বাহিনীর বন্দি সেনাদের মুক্তির দাবিতে তারা পথে নামে। পুলিশের গুলিতে কয়েকজন পড়ুয়া প্রাণ হারান।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজ অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করে। '৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধেও ছাত্র সমাজের অংশগ্রহণ ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। স্বাধীন বাংলাদেশে '৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ২০১৩ সালের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র সমাজই নেতৃত্ব দেয়। যে ছাত্র সমাজ শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' বানিয়েছিল তারাই মুজিব কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করেছে। বাংলাদেশে বারবার ছাত্র রাজনীতিকে শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গণ্ডি পেরিয়ে বৃহত্তর রাজনীতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেছে। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, ছাত্র ইউনিয়ন প্রভৃতি ছাত্র সংগঠন নিজ নিজ রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে শক্তিশালী শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করে। একথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির যেসব সাফল্য রয়েছে তা বিশ্বের আর কোনো দেশে নেই। পূর্ববঙ্গের ছাত্র রাজনীতির ঝাঁঝের সাথে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র রাজনীতির ঝাঁঝ তুলনীয় নয়।
দেশভাগের সময় বাংলা বিভাজনের পর পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠন হিসেবে শ্রমিক, কৃষক, শিক্ষক, যুবদের মতো ছাত্র সংগঠনও গড়ে তোলা হয়। ছাত্র সংগঠন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতা তৈরির সূতিকাগার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। কলেজ-ইউনিভার্সিটির অনেক ছাত্র নেতাই পরবর্তী সময়ে সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা হয়েছেন। ১৯৫৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় ও বিশিষ্ট নেতা অতুল্য ঘোষের নেতৃত্বে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ শাখার উপাঙ্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্র পরিষদ। ১৯৪৮ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের সমাজতান্ত্রিক ঐক্য কেন্দ্র (কমিউনিস্ট) যা এস ইউ সি আই (সি) নামে পরিচিত। দলের নেতা প্রভাস ঘোষ ১৯৫৪ সালের ডিসেম্বরে গঠন করেন সর্বভারতীয় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন (এ আই ডি এস ও)। ১৯৬৪ সালে সি পি আই ভেঙে সি পি আই (এম) গঠিত হয় আর তাদের ছাত্র শাখা ভারতের ছাত্র ফেডারেশন (এস এফ আই) গঠিত হয় ১৯৭০ সালে। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বিমান বসু। ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস (টি এম সি) গঠিত হওয়ার পর আগস্ট মাসে গঠিত হয় তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ (টি এম সি পি)। ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সঙ্গে সম্পৃক্ত অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) গঠিত হয় ১৯৪৯ সালে। এবিভিপি এখন ভারতীয় জনতা পার্টির শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করে। মূল ধারার রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতাকে মূলধন করেই ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। 'মাদার পার্টি'র নেতা ছাত্র সংগঠনের কাজকর্ম 'মনিটর' করেন। এদিক থেকে দেখলে ছাত্র সংগঠনগুলোর স্বকীয় ভূমিকার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এজন্য দেখা যায়, দু'একটা ব্যতিক্রম ছাড়া, শাসকদল পাল্টালে কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংসদও পাল্টে যায়। শাসকদলের অনুগামী ছাত্র সংগঠন সংসদের দখল নেয়।
পশ্চিমবঙ্গে বিশ শতকের সাতের দশকে কিছু পড়ুয়া নকশাল আন্দোলনে যুক্ত হয়ে ক্যাম্পাস রাজনীতি এবং মূল ধারার রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ক্যাম্পাস ও রাজপথ রক্তাক্ত হয়ে ওঠে। বিগত দুই-তিন দশকে অধ্যক্ষ ও উপাচার্য ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। পড়ুয়ারা উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে মারপিট করে মাথা ফাটিয়েছেন, হাত-পা ভেঙেছেন। লোকসভা, বিধানসভা বা পঞ্চায়েত-পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে উত্তেজনা, কোন্দল, হিংসা ও হানাহানি চলে ছাত্র সংসদের নির্বাচনেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। এখন ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ যেমন চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সাঙ্ঘাতিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন তেমনি তাদের ছাত্র নেতারা কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় চরম অনিয়ম করেন। বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করেন। ছাত্র সংসদের অফিস শাসকদলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। পড়াশোনার সুস্থ পরিবেশ থাকছে না।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির অস্তিত্ব নেই। সরকারি কলেজ-ইউনিভার্সিটি থেকেও ক্যাম্পাস রাজনীতিকে বিদায় জানানোর জোরদার দাবি রয়েছে। যারা ক্যাম্পাস রাজনীতির অবসান চান তাঁদের বক্তব্য হলো, ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসেন পড়াশোনা করতে, রাজনীতি করতে নয়। ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা ও অশান্তির জেরে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হয় এবং পঠনপাঠন বিঘ্নিত হয়। ইউ পি এ জমানার জে এম লিংডো কমিটি এবং এন ডি এ জমানার টি এস আর সুব্রহ্মণ্যম কমিটি ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সুপারিশ করে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলে। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপির নেতা কেশরীনাথ ত্রিপাঠী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতিমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। অনুরূপ মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। পশ্চিমবঙ্গ সরকার গত কয়েক বছর ধরে সমস্ত কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রেখেছে।
'ছাত্রনাং অধ্যয়নাং তপঃ' প্রবাদটি স্কুল ছাত্রদের ক্ষেত্রে যতটা প্রযোজ্য কলেজ-ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের জন্য ততটা নয়। উচ্চশিক্ষা পড়া মুখস্থ করার জায়গা হওয়া উচিত নয়। শুধুমাত্র নিজের 'ক্যারিয়ার' নিয়ে ব্যস্ত ও চিন্তিত থাকা একধরনের স্বার্থপরতা। কাজী নজরুল ইসলাম যে 'ছাত্রদলের গান' গেয়েছেন তাকে অবদমিত করা যায় না। সুকান্ত ভট্টাচার্যের 'আঠারো বছর বয়স'কে 'লক্ষ্মণ রেখা' দিয়ে আটক রাখা যায় না। উচ্চশিক্ষার শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ নিস্পৃহ থাকতে পারেন না। তাঁদের জ্বলন্ত ও জরুরি বিষয় নিয়ে মতামত গঠন ও প্রকাশ করতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। সেই রাজনীতির প্রাথমিক পাঠ ছাত্র জীবনে পেলে তো ভালোই! পড়াশোনা নিশ্চয়ই প্রায়োরিটি পাবে কিন্তু শিক্ষা বহির্ভূত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে হবে। এই দুইয়ের মধ্যে একটা ভারসাম্য রক্ষা করলেই হল। ছাত্র রাজনীতি করেছেন আবার লেখাপড়াটাও সাফল্যের সঙ্গে শেষ করেছেন এমন অজস্র উদাহরণ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগতভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি কলেজ (বিশ্ববিদ্যালয়), দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির একটা ঐতিহ্য আছে। লেখাপড়ার গুণগত মানের দিক থেকেও এগুলো দেশের অগ্ৰগণ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।
শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার হলেন শিক্ষার্থীরা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তাঁদের প্রতিনিধিত্ব কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা বলার সুযোগ ও অধিকার অবশ্যই থাকা দরকার। কিছু শিক্ষার্থীর উচ্ছৃঙ্খলতার দোহাই দিয়ে ছাত্র সংসদকেই অকার্যকর করে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। শিক্ষার্থীদের একটু আধটু অনিয়ন্ত্রিত উচ্ছ্বাস ও ভুল-ভ্রান্তিকে সাঙ্ঘাতিক অপরাধ বিবেচনা করলে চলবে না। ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র সংসদের বৈধতাকে হঠাৎ অস্বীকার করা কোনো ন্যায় সঙ্গত পদক্ষেপ হতে পারে না। ছাত্র রাজনীতি বিলুপ্ত হলে শিক্ষাঙ্গনে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হবে না। সেক্ষেত্রে সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পক্ষে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ ও রূপায়ণ সহজ হবে। উচ্চশিক্ষার বেসরকারিকরণ ত্বরান্বিত হবে। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ছেলেমেয়েদের জন্য উচ্চশিক্ষার দ্বার বন্ধ হবে। ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ধ্বজাধারীরা হয়তো সেটাই চাইছেন।
No comments