গল্প - আর.জি. দল, লেখক - বাবুর আলি



আর.জি. দল

বাবুর আলি


গ্রামবাংলায় তখন মানুষের খুব কষ্ট ছিল। 

বর্ষাকালের ধান চাষ শীতে ধান কাটা। তারপর আর কোন কাজ থাকলো না। সাধারণ গরিব মানুষদের অর্ধাহারে,অনাহারে দিন কাটতো।

    গ্রামে ছোট ছোট চুরি চামারি ডাকাতি লেগে থাকতো।

সে সময় লোকাল থানায় একজন ভালো পুলিশ অফিসার এসেছিলেন। তিনি গ্রামের যুবদের সঙ্গে মিশতে জানতেন এবং তাদের নিয়ে আর ,জি পার্টি গঠন করে দিয়েছিলেন। একজন ক্যাপ্টেন ও কয়েকজন যুব নিয়ে এই দল গঠিত হতো। থানা থেকে বল্লম টর্স লাইট ইত্যাদি দেয়া হতো। আমরা এই কাজের যুক্ত হয়ে পড়লাম। আমাদের দলপতি খুব দাকা বুকো মানুষ ছিলো। তার মধ্য একটা স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখা যেত। পড়াশোনায় ভালো নয় কিন্তু খেলার মাঠ গ্রামের যাত্রা মঞ্চে সে নায়কের ভূমিকা আদায় করে নিতে , দক্ষতায়।

    সাধক কবির, তাঁর দোহার কয়েকটি লাইনে 

লিখেছেন,-পহলে পহরমে সবকই জাগে,

                  দুসরা পহর মে ভোগী,

                  তিসরা পহরমে চোরা জাগে,

                 চৌথা প্রহর মে যোগী।

গ্রামের মানুষরা সকাল সকাল খেয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়তো। শেষ রাতে তাদের ঘুম হালকা হয় আসতো, মন্দির, মসজিদে প্রার্থনার আহ্বান ধ্বনি বাজতো।

সুতরাং মাঝরাত চোরদের আদর্শ সময়। আমরা এই সময়টায় সজাগ থেকে গ্রাম পাহারা দিতাম। 

     সেদিন আমরা সদল বলে গ্রামের পশ্চিম প্রান্তের মাঠে এসে উপস্থিত হলাম। খোলা মাঠ, গ্রীষ্মকালের শীতল হাওয়ায় প্রাণ জুড়িয়ে যায়। আমাদের সর্দার বাবু হয়ে বসে পড়লো, আমরাও বসে বসে আড্ডা জমিয়ে দিলাম, কেউ গামছা বিছিয়ে ঘুমাতে শুরু করল আমি একটি ট্রানজিস্টার রেডিও তে গান শুনতে লাগলাম। হঠাৎ ডাকাত ডাকাত চিৎকার। 

অন্ধকারে কিছু বুঝতে না পেরে যে যার মত ছুটতে শুরু করলাম। চাচা আপন পরান বাঁচা, এটাই তখন আমাদের পন্থা। 

   অন্ধকারের মধ্য থেকে গম্ভীর কণ্ঠে শব্দ ভেসে এলো" আমি ডাকাত নই গো বাবু আমি জনক ধারী আছি," আমাদে?

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url