একগুচ্ছ কবিতা, কবি - মোহর ভট্টাচার্য্য ( মালদা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
সবুজ পেনিসিলিন
মোহর ভট্টাচার্য্য
( মালদা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
সন্ধান পেয়েছে সবুজ পেনিসিলিন,
আমি আছি ক্লোরোফিলের ভেতরে।
সাইনাইড খেয়েছে আরশোলা,
মানুষবেশী মৃত্যু এগিয়ে এসেছে।
সব আধুনিক তাই শব্দেরা স্বাধীন,
ক্লোরোফর্ম হাতে ছুটছে কিশোর।
সুদের হার বাড়ছে, পারদ চড়ছে
স্তন্যপায়ী সভ্যতা
মোহর ভট্টাচার্য্য
এখানে স্তন্যপায়ী সভ্যতা,
এখানে স্তন্যপায়ী আলো।
প্রাণের পিছনে ছুটছে প্রাণ,
অতীতের দীর্ঘশ্বাস অতীত হচ্ছে।
ধুলোবালি মেখে সত্যি উঠে আসছে মিথ্যেকে চুরমার করে,
সম্পর্কের ভেতর বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি।
পরপর উঠে এসেছে রহস্য,
মুহূর্ত স্তব্ধ করে অতীত গড়েছ তুমি স্বাভাবিক ছন্দে।
উষ্ণ টান
মোহর ভট্টাচার্য্য
নীরবতার শরীরে উষ্ণ টান পরিলক্ষিত,
প্রদাহ সৃষ্টি হবে প্রতিক্ষণে।
রাত আর বৃষ্টি একাকার,
মৌখিক আলোয় জীবন আলোকিত।
দুচোখের গভীরতা স্পর্শকাতর,
সম্পর্কের স্থায়ীত্ব স্বীকার করতে সময় লাগবে।
তরলের ঘনত্ব অকারণে সৃস্টি হয়।
নির্যাস তুলে নিই
মোহর ভট্টাচার্য্য
স্মৃতি উপুড় করে নির্যাস তুলে নিই,
নীল বসন্ত ছুঁয়ে আসে স্মৃতিকথা।
তপ্ত হয়ে পড়ে প্রতীকী দৃষ্টি,
সময়ের অভিযোজন চলে অনবরত।
পরবর্তী আলোয় মিশে যায় অব্যক্ততা,
উথালপাথাল অন্তর সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা।
পায়ের পাতার শব্দ হয় দিনরাত,
আজ নিশিযাপন অনিশ্চয়তার মুখে।
দিগন্তে অন্ধকার
মোহর ভট্টাচার্য্য
তোমার অসাড় দৃষ্টি ঝরে পড়ে অস্তের বুকে,
দিগন্তে অন্ধকার সাবলীল।
একটা অজানা একাকিত্ব শরীরে প্রবেশ করে,
স্থিরতার ছায়া ফুটে ওঠে চারপাশে।
তুমি সচেষ্ট হও জীবনের কাজে,
মসৃণতা দৃশ্য হয় অস্পষ্ট অন্ধকারে।
নির্ভরতার আকাশে
দীর্ঘ প্রতীক্ষা,
বহুমুখী বিস্তীর্ণ অপেক্ষা আবৃত থাকে আচ্ছাদনে।
No comments