Header Ads

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ঈশ্বর চিন্তা, লেখক - মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল, মুর্শিদাবাদ

 


ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ঈশ্বর চিন্তা 

মজিবুর রহমান, প্রধানশিক্ষক, কাবিলপুর হাইস্কুল 

কাবিলপুর, মুর্শিদাবাদ


      ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (২৬.৯.১৮২০-২৯.৭.১৮৯১) ছিলেন ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবতী দেবীর জ্যেষ্ঠ সন্তান। দাদু রামজয় তর্কভূষণ বর্ণিত এই 'এঁড়ে বাছুর'কে ১৮২৯ সালে ঘাটাল মহকুমার বীরসিংহ গ্ৰাম থেকে কলকাতায় এনে সংস্কৃত কলেজে ভর্তি করা হয়। ঈশ্বরচন্দ্র এখানে একে একে ব্যাকরণ, সাহিত্য, অলঙ্কার, বেদান্ত ও স্মৃতিশাস্ত্র বিভাগে অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে এক দশকের কিছু বেশি সময়কাল অধ্যয়ন করেন। সংস্কৃত কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের রীতি অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্রের অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে বিদ্যাসাগর উপাধি প্রদান করে। ঈশ্বরচন্দ্রের আগে ও পরে আরও অনেকেই বিদ্যাসাগর উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। কিন্তু বিদ্যাসাগর বলতে আপামর বাঙালি ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চেনে ও জানে। শিক্ষা, সাহিত্য ও সমাজ সংস্কারে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা বাঙালি কখনও বিস্মৃত হবে বলে মনে হয় না।

        বিশ বছর বয়স থেকেই ঈশ্বরচন্দ্রের উচ্চবর্ণ তথা ব্রাহ্মণ পরিচায়ক পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়-এর জায়গা দখল করে নামের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে পাণ্ডিত্যের অভিজ্ঞান সূচক উপাধি বিদ্যাসাগর। নামের মধ্যে জাত পরিচয় গৌণ হয়ে পাণ্ডিত্যের প্রকাশ মুখ্য হয়ে ওঠার এমন দৃষ্টান্ত খুব একটা দেখা যায় না। কাকতালীয় ভাবে ব্যাপারটা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনদর্শনের সাথে বেশ মানানসই হয়েছে। আবার নামের মধ্যে 'ঈশ্বর' ধারণ করেও ঈশ্বর সম্পর্কে ব্যক্তিগত জীবনে ও সাহিত্যের মধ্যে তাঁর মতো নিস্পৃহতা বজায় রাখা বিখ্যাত বাঙালির দেখা মেলা ভার। তাঁর সমসাময়িক প্রায় সকল স্বনামধন্য বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজকর্মীকেই ধর্ম বা ঈশ্বর চিন্তার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হতে দেখা গেছে। কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া যাক। বাংলা সাহিত্যের যুগসন্ধিক্ষণের কবি তথা সম্বাদ প্রভাকর পত্রিকার সম্পাদক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত  (১৮১২-১৮৫৯) ধর্ম নিয়ে তাঁর বিশেষ আগ্ৰহ কখনও গোপন করেননি। বাংলা সাহিত্যে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টিতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭-১৯০৫) তাঁর পিতা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের (১৭৯৪-১৮৪৬) পদাঙ্ক অনুসরণ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে সামিল হন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও (১৮৬১-১৯৪১) ঈশ্বর বিশ্বাস ও ধর্ম পালনের ব্যাপারে পিতা ও পিতামহের পথের অনুসারী ছিলেন। বাংলা চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের জনক মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩) এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্ৰহণ করেন। আত্মীয় স্বজনদের আপত্তি উপেক্ষা করে ১৮৪৩ সালে তিনি খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন এবং ১৮৪৮ সালে নামের সঙ্গে 'মাইকেল' যুক্ত করেন। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) ধর্মচর্চায় খুব বেশি আসক্ত হয়ে শেষপর্যন্ত ঋষি হয়ে যান। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান নিয়ে প্রশ্ন তোলার দুঃসাহস কেউ দেখাতে পারে না কিন্তু সাহিত্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টিতে তাঁকে অনেকেই অভিযুক্ত করতে পারে।

       প্রখ্যাত যোগসাধক ও ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬-১৮৮৬) ছিলেন বিদ্যাসাগরের সমসাময়িক। রামকৃষ্ণ ১৮৮২ সালে আগস্ট মাসে একবার বিদ্যাসাগরের সাথে দেখা করতে আসেন। বিদ্যাসাগরের বাড়িতে পৌঁছেই রামকৃষ্ণ বলেন যে, তিনি সাগরে এসে পড়েছেন। জবাবে বিদ্যাসাগর সরস উক্তি করেন, সাগরের জল লবণাক্ত, তাই তাঁকে লবণাক্ত জল নিয়েই ফিরতে হবে। দুজনের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। রামকৃষ্ণ ঈশ্বর সাধনাকেই জীবনের অন্তিম লক্ষ্য বলে বিশ্বাস করতেন। কিন্তু বিদ্যাসাগর তাঁর জ্ঞানচর্চা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে কখনও ঈশ্বরের সন্ধান করেননি। পরমহংসের 'যত মত, তত পথ'  উপলব্ধিকে অনুকরণ করেই বলা যায়- মতেরও শেষ নেই, পথেরও শেষ নেই। তাই বোধহয় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ (১৮৬৩-১৯০২) পরমহংসের পরেই বিদ্যাসাগরকে গুরু বিবেচনা করতেন। বিবেকানন্দ বলেছিলেন, "জীবে প্রেম করে যেই জন/সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।" বিদ্যাসাগর ঈশ্বরের সেবা করার উদ্দেশ্যে কোনো কাজ করার কথা ভাবেননি কিন্তু তাঁর 'জীবে প্রেম' মানব প্রজাতি ছাড়িয়ে পশুদের মধ্যেও প্রসারিত হয়েছিল।বাছুরেরা মায়ের দুধ পায় না দেখে তিনি দুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আর, ঘোড়ার কষ্ট দেখে একবার তিনি গাড়ি থেকে নেমে পড়েছিলেন।

      ধর্ম কিংবা ঈশ্বর সম্বন্ধে মতামত প্রকাশে বিদ্যাসাগরের মধ্যে বরাবর একটা অনাগ্ৰহ লক্ষ্য করা গেছে। আলাপচারিতার মাঝে কেউ তাঁকে ঈশ্বর মাহাত্ম্য শুনাতে শুরু করলে তিনি সাধারণত বলতেন, "...তা তিনি থাকেন থাকুন, আমার দরকার বোধ হচ্ছে না।" ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে 'বোধোদয়'-এ বিদ্যাসাগরের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, "ঈশ্বর নিরাকার চৈতন্যস্বরূপ।" একবার এক সাধু বিশ্বেশ্বর ও অন্নপূর্ণার প্রতি বিদ্যাসাগরের বিশ্বাস আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি তাঁর পিতা-মাতাকে দেখিয়ে বলেন, "ইনি আমার বিশ্বেশ্বর আর উনি আমার অন্নপূর্ণা।" বিদ্যাসাগর ধর্মানুষ্ঠান এড়িয়ে চলতেন। তিনি সাধন-ভজন করতেন না, মঠে-মন্দিরে যেতেন না, তীর্থে-ঘাটে ঘুরতেন না। তবে ধর্মের অনুষঙ্গযুক্ত কিছু বিষয়কে সাধারণ লোকাচার হিসেবে মেনে চলাকেই শ্রেয় বোধ করতেন। সেজন্য তিনি ব্যক্তিগত পত্রে 'শ্রী শ্রী হরি সহায়' কিংবা 'শ্রী শ্রী দুর্গা শরণং' প্রভৃতি শব্দবন্ধ ব্যবহার করতেন। পৈতাও পরতেন। বিদ্যাসাগর গভীরভাবে বেদান্ত অধ্যয়ন করেছেন কিন্তু বিশ্বাস করেননি। এব্যাপারে একটুখানি কঠোরতার পরিচয় দিয়ে তিনি বেদান্ত দর্শনকে ভ্রান্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন। খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মধ্যেও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি তাঁর নজর এড়িয়ে যায়নি। সার্বিক ভাবেই ধর্ম নিয়ে মানুষের উন্মত্ততা তাঁকে ভীষণ পীড়া দিত। 'জীবনচরিত'-এ তিনি লিখেছেন, "মনুষ্য মাত্রই ধর্ম সংক্রান্ত বিবাদে উন্মত্ত এবং ভিন্ন ভিন্ন পক্ষের ঔদ্ধত্য ও কলহপ্রিয়তা দ্বারা সৌজন্য ও দয়া দাক্ষিণ্য একান্ত বিলুপ্ত।"

        আজ একবিংশ শতকেও যখন কিছু মানুষ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে উর্দু-আরবি কিংবা হিন্দি-সংস্কৃত ভাষার প্রচার-প্রসারে সচেষ্ট তখন ঊনবিংশ শতকে সংস্কৃত ভাষা-সাহিত্যে সুগভীর জ্ঞানের অধিকারী হয়েও বিদ্যাসাগর আধুনিক শিক্ষার স্বার্থে সংস্কৃতের থেকে ইংরেজির অগ্ৰাধিকারের পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি উপলব্ধি করেন যে, ধর্মের ধ্বজাধারীরা জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার বিকাশের বিরুদ্ধে। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত পরিচয় ও প্রভাবকে সম্বল করে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন।

       বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ চালু রাখার পক্ষে এবং বিধবাবিবাহ চালু করার বিপক্ষে সমাজপতিরা ধর্মের দোহাই দিতেন। ধর্মের মোহমুক্ত বিদ্যাসাগর সমাজপতিদের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নেন। বিদ্যাসাগর বাস্তব জীবনের দৃষ্টান্ত দিয়ে এই সব সামাজিক ব্যাধির ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেন। লেখনীর মাধ্যমে তাঁর যুক্তিপূর্ণ বক্তব্যকে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেন। তিনি বেশি সংখ্যক বলিষ্ঠ সহযোগী পাননি। কিন্তু দমে যাননি। ১৮৫৬ সালে বিধবা বিবাহের সমর্থনে আইন তৈরি হয়। আজকের দিনেও ধর্মের অনুমোদন নিয়ে অনেক অমানবিক ও নিষ্ঠুর প্রথা সমাজে চলতে দেখা যাচ্ছে।

         আজ আমরা রাষ্ট্রকে নারী শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগী হতে দেখছি। আজও অবশ্য ধর্মীয় নেতারা নারীকে অবগুণ্ঠিত করে গৃহকোণে আটকে রাখার পক্ষে সওয়াল করে। বিদ্যাসাগর সেই কবে বুঝেছিলেন যে, নারী শিক্ষার অগ্ৰগতি ছাড়া মানব সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনে অগ্ৰণী ভূমিকা পালন করেন। সরকার ওই বিদ্যালয়গুলোর আর্থিক দায়ভার বহনে অক্ষমতা জানালে বিদ্যাসাগর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সেগুলো চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

        ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শোষণের বিরুদ্ধে কথা না বললেও গরিব মানুষের প্রতি দয়া দাক্ষিণ্য প্রদর্শন করার আহ্বান জানায়। বিদ্যাসাগর ব্যক্তিগত পরিসর থেকেই যথাসাধ্য চেষ্টা করে গেছেন গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তিনি ছাত্রাবস্থা থেকেই ধর্মাচার নয়, মানবসেবাকেই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য স্থির করেন।দুস্থ সহপাঠীর অসুখ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। রাস্তায় পড়ে থাকা পঙ্গু অক্ষম লোককে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার দেখাশোনা করেছেন।ওলাওঠায় আক্রান্ত মহিলার নিজ হাতে সেবা করতে কুণ্ঠিত হননি। দুর্ভিক্ষের সময় অন্নের ব্যবস্থা করেছেন। ঋণ করে বিলেতে অর্থকষ্টে ভুগতে থাকা মাইকেল মধুসূদন দত্তকে অর্থসাহায্য পাঠিয়েছেন। এভাবেই বিদ্যাসাগর হয়ে উঠেছেন দয়ার সাগর।বিদ্যা ও বিবেকের সহাবস্থান খুব বেশি মানবদেহে দেখা যায় না। ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যতিক্রম।

      আজকের দিনের বিখ্যাত বাঙালিরা পদলোভ ও পদলেহনের জন্য সমালোচিত হন। তাঁদের 'মেরুদণ্ড' না থাকা নিয়ে কত কথা হয়। বিদ্যাসাগর সেই ঊনবিংশ শতাব্দীতেই দেখিয়েছেন একজন মানুষের মূল্যবোধ ও ব্যক্তিত্ব কোন্ পর্যায়ের হতে পারে। তিনি সংস্কৃত কলেজের সচিব রসময় দত্তের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে সহ সচিবের পদে ইস্তফা দেন।শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর মি.গর্ডন ইয়ং-এর সাথে মতভেদের কারণে বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। একবার ছোটলাট হ্যালিডে সাহেব তাঁকে ধুতি চাদর ও চটির পরিবর্তে বুট কোট পরে লাট ভবনে আসতে অনুরোধ করেন। তিনি তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেন যে, তাঁর পক্ষে এই অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভব নয়।হ্যালিডে সাহেবও তাঁর অনুরোধ ফিরিয়ে নিতে বিলম্ব করেননি। এমন আরও অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়।

        বিদ্যাসাগর ঈশ্বরের অস্তিত্ব অথবা ধর্ম সংক্রান্ত বিতর্কে কখনও নিজেকে যুক্ত করতে চাননি। তাঁর হয়তো মনে হয়েছিল ঈশ্বরের আলোচনায় এই জগৎ সংসারের কোনো সমস্যার সুরাহা হয় না। বরং ওই বিতর্কে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে বিভেদ বাড়ে। আজকের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জ্ঞানালোকের যুগেও ধর্ম, ঈশ্বর ও অবতারের নামে যে পরিমাণ হিংসা, হানাহানি ও যুদ্ধ পর্যন্ত সংঘটিত হতে দেখা যাচ্ছে তা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। বিদ্যাসাগর ব্যক্তিগত পরিসরে অজ্ঞেয়বাদী, সংশয়বাদী না নাস্তিক ছিলেন সেটা বড় বিষয় নয় বরং তার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানবসেবায় তাঁর অবদান। ধর্মপালন না করার কারণে তিনি কখনও কোনো মানুষের ক্ষতির কারণ হননি কিন্তু তাঁর ধর্মনিরপেক্ষ কর্মকাণ্ড বহু মানুষের উপকার করেছে। তথাকথিত ঈশ্বরের নির্দেশিত পথে না চলে তিনি তাঁর নিজের বিবেক বুদ্ধি অনুযায়ী জীবনযাপন করেছেন এবং নিজেকে একজন প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.