নাটক - অভাগিনীর স্বর্গ, নাট্যকার- সামসুদ্দিন বিশ্বাস (মুর্শিদাবাদ)
নাটক - অভাগিনীর স্বর্গ
নাট্যকার- সামসুদ্দিন বিশ্বাস
তোরাপ শহর থেকে লেখাপড়া শিখিয়া মনস্থির করিয়াছে সে নিজ গ্রামেই এক স্কুল তৈরি করিয়া আলো জ্বালিয়া দিবে এই উপলক্ষে আনসার সাহেবের শরণাপন্ন হইয়াছে ।
তোরাব :-[বিডি অফিস ]
(দরজায় ধাক্কা দিয়ে হাত দিয়ে) ভিতরে আসতে পারি স্যার !
বিডিও :- হ্যাঁ ,আসেন !
কি ব্যাপার বলুন!
তোরাপ :- আমি একটা স্কুল করিতে চাহী স্যার? আপনি যদি পারমিশন দেন তাহলে কাজটা আমার পক্ষে সহজ হবে ।
বিডিও :- সে তো ভালো কথা আপনাদের এই শেরপুরে এসে আমি অবাক হলাম দু দুটো হাই স্কুল , প্রাইমারি স্কুল থাকা সত্ত্বেও এখানকার ছেলেমেয়ে একেবারে অজ্ঞ, কোন শিক্ষা চেতনা নেই ঠিক আছে তোরাপ তোমার স্কুল তৈরি করাতে আমি যথেষ্ট উদ্যোগ নেব।
[একটা কাগজে লিখতে লিখতে]
আপনাকে আমি লিখিত পারমিশন দিলাম ।
এই নিন..............
তোরাপ :-[হাত বাড়িয়ে নেন] ঠিক আছে স্যার !
প্রস্থান
[শেরপুর গ্রাম পাঁচ কাঠা জায়গার উপর তোরাপ স্কুল তৈরি করিতে শুরু করিয়াছি এখন ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয় মুখি করিতে হবে]
সকাল বেলা -
তোরাপ গ্রামের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছে সাগরের সাথে দেখা
তোরাপ :-সাগর তোর ছেলে মেয়ে গুলোকে কি করছে আমি তো স্কুল করলাম ছেলেমেয়েগুলোকে পাঠাস ?
সাগর:-তোরাপ ভাই তোমাদের তো খেয়ে দেয়ে কাজ নেই? বড় লোকের ছেলে ? হামাদের ছেলেমেয়েরা কে দুমুঠো ঠিকমতো খেতে দিতে পারি না, আবার লেখা পড়া শিখাইবো ?
তোরাপ:- না সাগর লেখাপড়া তো গরিব বড় লোক নেই সবাইকে লেখা পড়া শিখা দরকার কারণ শিক্ষা করা ফরজ কাজ
সাগর:- খেতে পাই না ঠিকমতো আবার খরচ কাজ কন না হামি চাষা হামার ছেলেও চাষা থাকবে কন্ ।
তোরাব এটা ঠিক নয় সাগর সভ্য সমাজের মানুষ হতে হলে লেখাপড়া শিখতেই হবে
সাগর :- হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা তবে অসভ্য লেখাপড়া মানুষ ভুলই যদি সভ্য হয় তো রাজিব গরিব মানুষের তার ছেলেকে পড়াশোনা শেখালো। কত কষ্ট করে দুটো ভাত পাবে বলে যেমন ছেলের বিয়ে দিল অমনি থাকলো বাড়িতে বলে কি জানলেন তোমাদের পরিবেশ ভালো নয়। অন্য জায়গায় বাড়ি ভাড়া করে থাকিব আয়রে আল্লাহ রাজিবের কষ্ট দেখলে পরান ফাইটা যায় আর ছেলেরে লেখাপড়া শিখাইয়া দুটো ভাতের আশা নেই। নতুন বইয়ের গোলাম হইয়া বউয়ের গোলাম হইয়া বউ এর কথা মত শহরের যাইয়া ঘর ভাড়া নিয়া থাকিছে !
তোরাপ:- সাগর, সবাই এক নয় ? এটা লেখা পড়া দোষ নয়, এটা একটা বিবেকের প্রশ্ন ?
সাগরের প্রস্থান
[জরিনা দের বাড়ি একটি আট বছরের মেয়ে বিড়ি পাতা কাটিতেছে তোরাপের প্রবেশ]
তোরাপ :- চাচি বাড়িতে আছেন 8 বছরের মেয়েটির দিকে তাকিয়ে]
চাচি বড়লোকের ছেলে বাবা হঠাৎ গরীবের বাড়িতে ? বসো
তোরাপ :- চাচি ,আমি গ্রামে স্কুল করেছি এই এলাকার ছেলেমেয়েদের কে লেখাপড়া শিখাবো বলে আপনার মেয়েকে কালকে ভর্তি করবেন
চাচি :- একি বলছো বাবা তোবা তোবা ......হামরা ছেলেমেয়ে রে লিখাপড়া শিখামো না ! গুনাহ্ হবে।
তোরাপ:- কি বলছেন চাচি গুনহা কেন হবে? সে তো ভালোর জন্য এই কাজ করছি।
চাচি:- হামাদের মেয়ে ছেলের মান ইজ্জত আছে , কোন হালে দুটো বছর পার করতে পারলে বিয়া দিয়া শান্তি পামু। স্কুলে যারা লেখাপড়া শিখে তাদের মত বেহায়া নিয়া দুনিয়াতে নাই পুরুষ মানুষের সাথে লেখাপড়া শিখমো তোবা তোবা...........।
তোরাপ:-চাচি এটা আপনার ফুল ব্যাখ্যা বাঁচতে হলে কিন্তু লেখাপড়া শিখা দরকার তাতে ওরই কদর বাড়বে।
চাচি:-তবে হামাদের মেয়েদের কদর নাই কন ? লেখাপড়া যদি ভালোই হয় তবে তাসিরের বেটি কে দ্যাখেন , কুড়ি বছরের বাড়ির মেয়ে তবুও জিন্সের প্যান্ট পইড়া বাজার বাজার ঘুরে আর সব সময় হাতে মোবাইল নিয়া কার সাথে যে কত কথা কন্
হায়রে কাল কত বেটা ছেলের সাথে গল্প হামাদের বেটিদের এমন লেখাপড়া শিখামো না?
তোরাপ :-চাচি এটা মনের পাপ লেখাপড়া শিখলে ছেলে মেয়ের সাথে মিলামিশা হবে আর মিলামিশা করলে খারাপ হয় না।
প্রস্থান
[আনমনে পথ চলেছে রাস্তার পাশে তারই গ্রামের সুখা শেখ দুটো দশ বছর, আট বছর বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছে]
হেসে গেলেন !
তোরাপ:-কিরে সুখা কাজ করছিস একটু নেমে আয় তোর সাথে দুটো কথা আছে?
নেমে এসো সুখ কি বলেন তোরা ছেলে দুটো দেখিয়ে তোর ছেলের দুটো বয়স কত
সুখা:-ওটা ১০ এটা ৮ বছর !
তোরাপ :-এত অল্প বয়সে এদের কাজ করাচ্ছিস , জানিস ১৮ বছর না হলে এদের হাঁটার কোন অধিকার নেই?
সুখা :- বাহ , বাহ আমরা খেতে না পেয়ে মরে যামু ,আপনাদের গোলামি করমু , এটাই চান ?
তোরাপ:-না সুখা আমি এটা বলছি না , আমি বলতে চাইছি ছেলেদের কিছু লেখা পড়া শিখা মানুষ করে তোল।
সুখা:- হামি না খাটলে,ছেলেদের না খাটালে দুটো খেতে পাইনে, আর দু'মাস হলো বউয়ের ব্যারাম হল তাতেই ওষুধ কিনতে কিনতে ফকির হলাম। কাজ নাই জসিম এর কাছে ২০০ টাকা ধার চ্যালাম , দিলো না
মনে করল ওতো গরিব কেমনে শোধ দিবে ?
তোরাপ:- সুখা, সহ্য কর পৃথিবীতে সবাই একরকম হয় না গরিব ,বড়লোক শিক্ষিত অশিক্ষিতদের মধ্যে থাকবে এর মধ্যে ছেলে একটু বিদ্যার ছোঁয়া দিতে হবে ? নইলে সে ঠগা পড়বে? শিক্ষা মৌলিক অধিকার ? এটা থেকে ছেলেদের বঞ্চিত করিস না , আল্লাহ তোদের মহায় হবে।
সুখা :- ঠিক আছে!
[ইস্কুলের পাঁচখানা ঘর এদিক ওদিক থেকে জন বিশেক ছেলে পড়তে আসছে]
[ দুজন মাস্টার]
তোরাপ:- বলো ছেলেরা ,তোমাদের কেমন লাগছে লেখাপড়া করতে ?
সকলেই : - খুব ভালো স্যার !
প্রথম শিক্ষক :- তোরাপ সাহেবের স্কুল ভালো না লেগে কি থাকতে পারে? কি বলো তোমরা (ছেলের) ?
সকলেই খুব ভালো খুব ভালো দ্
দ্বিতীয় শিক্ষক :-আজ তোমাদের ছুটি( প্রস্থান)
(নাসির উদ্দিন এম এল এ অতি চালাক সে দুজন বন্ধুকে নিয়ে পরামর্শ করছে।)
নাসির উদ্দিন :-জাভেদ ভাই, গ্রামে এসে তোরাপ্ ছোঁড়া যে ভাবে স্কুল তৈরী করে জনপ্রিয় হয়ে পড়ছে অল্প দিনে তাতে তো আমাদের রাজত্ব শেষ হয়ে পড়বে?
জাভেদ:-সত্যি এটা ভাবছি ! ছোড়া যেভাবে মন প্রাণ ঢেলে লেখাপড়া শিখার জন্য লেগে পড়েছে ,তাতে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখলে একে বাড়ে পেকে যাবে। আমরা মূর্খদের নিয়ে যেভাবে রাজত্ব করছি তাতে আখের শেষ হয়ে যাবে ?
নাসির উদ্দিন : -জাভেদ, এটা চিন্তার বিষয় ওরা মূর্খ আছে বলেই আমরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটছি ?ভোটে এদের কে সব রকম ভাবে ব্যবহার করছি? ভোটের রাতে এদেরকে লেলিয়ে দেওয়া হয় কিছু কাপড় টাকা মদ দিয়ে সহজে হাতে আনা যায় ?ছোড়া লিখা পড়া শিখে গ্রামে ই এসে যে স্কুল করবে এটা ভাবতেই পারিনি ?
জাভেদ :-এক করা যায় না যাতে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ গোলু যেন লেখাপড়া না করে থাকতে একটা আমরা ইটের ভাটা খুলবো ছেলেদের কে কাজে লাগানো হবে সেই সাথে স্কুলেও ছেলেমেয়েদের কেও পাঠাবে না ?
নাসির উদ্দিন :- সত্যি বন্ধু তোমার প্রশংসা করে পারা যায় না ?
[প্রস্থান]
[স্কুলের একটা অনুষ্ঠান করা দরকার আগামী ২৬ শে জানুয়ারি, বেশ কিছু মান্য মান্য লোকগুলো কেও এতে আনতে হবে ]
(১০০ খানা কার্ড লেখা হলো)
তোরাপ:- মাস্টারমশাই ! আমাদের স্কুলের যতগুলো ছেলেমেয়ে আছে তাদের অভিভাবক গুলো ইনভাইট কার্ড লিখে দাও এবং সময় নেই তাড়াতাড়ি বিলি করে দাও ।
এক কাজ করো এমএলএ ও বিডিও সাহেবের কার্ড টা আমার কে দাও দেখা করা ও হবে। নিমন্ত্রণ ও জানানো হবে ।
প্রথম শিক্ষক :- এই নিন স্যার !
প্রস্থান
। (এমএলএ বাড়ি)
[তোরাপের প্রবেশ]
তোরাপ:- বাড়িতে আছেন এম এল এ সাহেব ?
(বেরিয়ে এসে) এম এল এ : -হ্যাঁ আসেন , কি ব্যাপার তোরাপ আজকে আসতে পেলে আমার কাছে ?
রোজও ভাবী যাব কিন্তু বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন দিকে ফেঁসে যাচ্ছি আর যাওয়া হচ্ছে না।
তোরাপ:- এমএলএ সাহেব ,আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাতে এসেছি (কার্ডটি হাতে দিয়ে )এই নিন...... আপনি অবশ্যই আমার স্কুলে যাবেন ।
এমএলএ:- ঠিক আছে, তোরাপ, তোমার স্কুলে তো আমাকে যেতেই হবে, ভালোই কাজ করেছ ,গ্রামের উন্নতির জন্য ছেলে মেয়ের লিখাপড়া শিখাতে অনেক পরিশ্রম করছো ?তোমার এই মহৎ কাজে নিশ্চয়ই যাবো।
প্রস্থান
[জাভেদের প্রবেশ ]
এসো এসো , জাভেদ তোমারই কথা মনে মনে বলছিলাম। এই দেখো ব্যাটা পাষণ্ড তোরাপ আমাকে নিমন্ত্রণ করতে এসেছে স্কুলের অনুষ্ঠানে?
জাভেদ: কি বললে?
এমএলএ:- ঠিক আছে, এতো করে বলছে তখন নিশ্চয়ই যাব !
জাভেদ:- সত্যিই যাবে?
(প্রস্থান)
[অনুষ্ঠান ঘটা করে হলো প্রত্যেকে এলো কিন্তু এমএলএ এলো না সময় অভাবে (ডিলিগ্রামে জানি) ]
তোরাপ:- প্রিয় অভিভাবক বৃন্দ, আপনাদের উদ্দেশ্য বলিতেছি, আমি যে ইস্কুল করিয়াছি তাহাতে আপনাদের কোন অসুবিধা হয় নাই তো, আর বলুন অনুষ্ঠান কেমন লাগছে ।
সকলে চেচিয়ে:- খুব ভালো, জয় তোরপ জয় ।
তোরাপ: -আপনাদের মধ্যে হইতে সুখাকে এখানে কিছু বলার জন্য ডাকতেছি।
[সুখা এখানে এসো]
সুখা:- (মাইকের সামনে) উপস্থিত বৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমরা সবাই তোরাপ সাহেবের স্কুলে এসেছি। উনি যদি স্কুল না করতো ,তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা অজ্ঞ থেকে যেত। জানেন তেনু দোকানদার ধারের নামে কত বেশি লিখতো কিন্তু যেদিন থেকে হামার ছেলেরে দ্যাখাইছি খাতা অমনি ভুল ধরা পড়ি যায় । হামরা লিখা পড়া না শিখা কত যে ঠগা পড়তেছি আল্লাহ মালিক জানেন।
সকলে চেচিয়ে:- সত্যি, সত্যি, সত্যি.....!
[গ্রামের পথ ধরে চলিতেছি, হঠাৎ গালিগালাজ এবং চিৎকার চেঁচামেচি দেখিয়া তোরাপ থামিয়া যায়]
তোরাপ:- কী ব্যাপার কী হল, এত চিৎকার চেঁচামেচি কেন ?
দুজন লোক কাছে এসে :- রহমতের বেটি আছে তাই এত চিৎকার চেঁচামেচি ?
তোরাপ:-বেটি থাকলো তো চিৎকার আবার কিসের ?
প্রথম লোক:- জানেন রহমতের বেটি ফুল বানু বিহার জন্য এত ঝগড়া বেটি টাকে খুব মারছে আর দুদিন থেকে খেতে দেয় না ভালো করে। এত সুন্দর চেহারা বাজ বেটির বিহা দিচ্ছে রহমত করিম সুদখোরের সাথে ১৫ দিন হলো ওর বউ মারা গেছে, দুটো ছেলে, একটা মেয়ে আছে, বেটি টা কিছুতেই ওই বুড়াকে বিহা করতে চাইছে না। রহমত জোর করে বিহা দিবে তাতেই গন্ডগোল ।
তোরাপ:- রহমত চাচা, কি ব্যাপার বলুন তো? মেয়েকে হাট বসিয়েছেন, এত চেঁচামেছি লোক জুটানো ?
রহমত :- দেখো তোরাপ সাহেব, হামি মেয়ের বিয়া দিচ্ছি ভালো বাড়িতে খেতে পড়তে কোন অভাব হবে না, মেয়েটারে হামি, কোন দিন পেট ভরে দুটো খেতে দিতে পারি নি ।
তোরাপ:- ছেলেটি কোথাকার?
রহমত:- করিম মণ্ডল
তোরাপ:- বলেন কী, তার তো ছেলে মেয়ে আছে এবং বয়স তো পঞ্চাশের কাছে কি বলে আপনার এত সুন্দর মেয়ের বিয়ে এক বুড়ার সাথে দিচ্ছেন ।
রহমত :- কি করবো সাহেব বলুন, হামরা গরীব মানুষ, টাকা পয়সা নেই, পণ দিতে পারব না কোথায় বিয়ে দিমো। গরীবের বাড়িতে তো কেউ দেখতে তো আসছে না ?
তোরাপ:-চাচা, ধৈর্য ধরেন, মেয়ে তোরে একেবারে বুড়ি হয়ে যায় নি , নিশ্চয় বিয়ে হবে, খুব যত ১৮ বছর বয়স তাতে এত মাথাব্যথা ।
রহমত :- সাহেব, হামরা খেটে খাওয়া মানুষ বেটির মাথায় লম্বা হয়েছে তো কতই না কথা শুনি যায়। সেদিন জলের মুখের সামনে হামারে বলে রহমত তোর বেটির বিহা দিসনা ক্যান , তোর বেটির ইনকাম খাওয়ার জন্য বিহা দিস না ?
[আফসোস] হায়রে আল্লাহ গরিবের কপাল !
তোরাপ:- মেয়েটি ডাকেন চাচা
রহমত:-আকলিমা ,এদিকে আয়।
আকলিমা (মাথানত করে):-আসসালামু আলাইকুম
তোরাপ:- কি নাম তোমার ?
আকলিমা:-আকলিমা ।
তোরাপ: আকলিমা, বল কেন তুমি করিমকে বিয়ে করতে চাইছ না ?
আকলিমা: -[লজ্জায় মাথা নত কাঁদে] বলতে পারবো না? আমাকে মরতে দেন বেঁচে থাকতে চাই না ।
তোরাপ:-বল, তোমাকেই আজ বলতেই হবে ?
আকলিমা :-করিম একজন সুদখোর মহাজন, এবং বুড়া ।
তোরাপ:-ঠিক আছে তোমার ওখানে বিয়ে হবে না ।
রহমত এগিয়ে এসো
রহমত:-বেটি কে নিয়ে কি করব? এমনিতে অনেক কথা শুনতে হয় , সমাজ কি বলবে ?
তোরাপ :-কিছু চিন্তা করবেন না, আকলিমা যখন আপনার কাছে এত ভারী আমিই তাকে বিয়ে করবো ।
রহমত:-কি বলছেন, আমাদের মত সামান্য ভিখেরির বাড়িতে তুমি কে বিয়ে করবে ? না এর কি করছো !
তোরাপ:-না চাচা আপনার এবং আকলিমার যদি কোন আপত্তি না থাকে তাহলে আজই বিয়ে করব ।
বল আকলিমা তুমি কি রাজী আছো ।
আকলিমা:-সাহেব, একটা অভাগিনী নারীর জন্য আপনার অমূল্য জীবন কেন নষ্ট করতে চাইছেন !
তোরাপ:-না আকলিমা, আমি তোমাকে বিয়ে করে সুখী হতে চাই।
আকলিমা:- মাথা নত: হ্যাঁ
যবনিকা
No comments