কবিতা - যে ভাবে সংরক্ষিত হয় অনন্ত জীবন, কবি - গোলাম রসুল

 


যে ভাবে সংরক্ষিত হয় অনন্ত জীবন 

গোলাম রসুল 


বড়জোর তুমি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারো

না হলে তুমি অন্ধকারের পেছন থেকে এনকাউন্টার করতে থাকো

কারণ ধূর্ত লোকেরা তোমার জন্য তৈরি করেছে খেলনা আর বেলুন 


তুমি অভিযান শুরু করো

যেতে যেতে তুমি দ্রাঘিমা রেখাটি ছিঁড়ে ঝুলে থাকতে দেখবে

দেখবে কয়েকটি মুমুর্ষ নক্ষত্র মিনতি জানাচ্ছে তোমার জন্য 

দেখবে আমাদের স্বাধীনতা মেঘের মতো 

একটি শুকনো জলাধারের মতো আমাদের দেশ 

তার ফাঁপা শব্দগুলো ছুটে চলেছে মেঘের টং ঘরের দিকে 


আশ্চর্য তুমি দেখবে পৃথিবীর গতিপথকে থামিয়ে দিয়ে নীল মোটর গাড়ি গুলো কিভাবে ছুটছে 

তুমি ওখানেই নিজের জন্য স্থাপন করো একটি বিষণ্ণ মহাশূন্য


আরএকটি রুগ্ন পর্যবেক্ষণ 

জীবন যেন চিরায়ত তারাদের অসীম প্রহেলিকা 

যেটুকু আলো জ্বলছে 

যেন সূর্যের সঙ্গে পালিয়ে যাচ্ছে জলবিন্দু 


আর দেখো 

আমি আকাশকে 

অন্যান্য জগতসমূহকে 

মহাশূন্যকে 

নিজের বাড়ি বলে শিখে নিয়েছি 

আমি আমার দেশের কখনোই ভাড়াটে নই

আমি আমার দেশের কিছু বই নেবো 

ভালোবাসার মানুষদের কিছু ছবি নিয়ে কবরে যাবো

যে ভাবে সংরক্ষিত হয় অনন্ত জীবন 

             

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url