একগুচ্ছ প্রেমের কবিতা (৩৫টি), কলমে - মোঃ ইজাজ আহামেদ (Md Ejaj Ahamed)



বৃষ্টির আদরে
মোঃ ইজাজ আহামেদ 

মেঘ রোদ্দুরের লুকোচুরি,
আঙিনায় দাঁড়িয়ে আমি;
হঠাৎ  করে শুরু হলো মুষলধারে বৃষ্টি;
বৃষ্টির আদরে মনে পড়লো তোমাকে;
বৃষ্টি মেখে বৃষ্টি স্নাত হয়ে
মনে কল্পনা আঁকি;
তুমি আমি বৃষ্টিতে ভিজি;
আনন্দের জোয়ার উঠে মনের সমুদ্রে;
দিগন্ত পেরিয়ে মেঘ বালিকারা আমাদের দেখতে আসে;
আমাদের সাথে তারা হেসে উঠে মহাউল্লাসে;
মাঝে মাঝে হাত ধরে দুজনে
বৃষ্টির জলে লাফা লাফা করি,
জলের ফোঁটা ছিটিয়ে একে অপরকে উপহার দি,
মাঝে মাঝে দুজনে পাশাপাশি
দুহাত ছড়িয়ে আকাশের পানে চেয়ে থাকি।
বৃষ্টি থামলো, থামলো আমার কল্পনার স্বপ্ন;
এক পশলা বৃষ্টি আমার মনের দেশে নিয়ে এসেছিল
রোমান্টিসিজমের বৃষ্টিধারা;
মেঘের খামে তোমায় দিলাম পাঠিয়ে
আমার এই বৃষ্টি ভেজা কল্পনার বর্ণনা।



শরতের আগমনে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

শরতের আগমনে নীল আকাশ, শুভ্র মেঘ আনন্দে সেজেছে,
সেজেছে নদীর তীর কাশফুলে;
হাসছে কাশফুল হাওয়ায় দুলে,
নৃত্য করে চলেছে সারা দিন ধরে;
নেই  ক্লান্তির চিহ্ন তার দেহে;
মাঝি নৌকা নিয়ে ভাসে স্রোতে
ভাটিয়ালি গান গেয়ে।


আমি  নিয়ে যাবো তোমাকে
নদীর তীরের শুভ্র কাশবনে
নৌকায় চেপে ভাটিয়ালি গান শুনতে শুনতে
আর সাদা মেঘ আকাশের নীল পথ বেয়ে
যাবে আমাদের সাথে;
তোমার শুভ্র দেহের পরনে থাকবে নীল শাড়ি,
নীল চুরি, নীল টিপ, রুপোর দুল, রুপোর শিঞ্জিনি
যেন শরতের  আকাশ
আর তার মাঝে তুমি এক টুকরো সাদা মেঘ;
সেখানে পৌঁছে তোমার বিন্যস্ত চুলে গুঁজে দেব কাশ;
আমরা খেলবো লুকোচুরি কাশবনে,
বলবো হৃদয়ের কথাগুলো একে অপরকে;
তুমি হেসে উঠবে তাদের সাথে,
তোমার সেই ভুবনভোলান হাসিতে
হারিয়ে যাবো রূপকথারই দেশে।


আমি নিয়ে যাবো তোমায়
মোঃ ইজাজ আহামেদ

শরতে আকাশের নীল সাগরে
ভেসে বেড়ায় শুভ্র মেঘের ভেলা,
নদীর তীরে শুভ্র কাশের মেলা,
হাওয়ায় দোলে কাশফুল রেল লাইনের ধারে,
উঁকি মারে পথেরও ধারে;
মাঝি নৌকায় ভেসে ভাটিয়ালি গান গায়;
ট্রেনে, গাড়িতে অনেকে জানালার ধারে বসে
মুগ্ধ হয়ে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে
নীল-সাদার নীচে কাশের মেলায়।

আমি ঘোরাবো তোমায় নদীর তীরে কাশের মেলায়;
স্রোতে খেয়ায় ভেসে নিয়ে যাবো তোমায়
মাঝির ভাটিয়ালি গান শুনে শুনে কাশের ইশারায়।

আমি নিয়ে যাবো তোমায় কাশের মেলায়
রেল লাইনের কাছে হাতে হাত রেখে,
সেথায় থাকবো পাশাপাশি দুজনায়;
ট্রেন কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ছুটতে থাকবে,
অপু-দুর্গার মতো কাশফুলের বনে দাঁড়িয়ে
আমরা থাকবো তাকিয়ে।

একদিন ট্রেনে করে নিয়ে যাবো তোমায়,
জানালার পাশে বসে উঁকি মেরে থাকবো দুজনায়;
কল্পনায় সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে
শরতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে
পাড়ি দেব আকাশের নীল-নীলিমায়।



আকাশের নীলে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

আকাশের নীল সাগরে মেঘের খেয়াতে দাঁড়িয়ে
তোমাকে ডাকি কল্পনাতে বারে বারে;
তুমি এই সাদা মেঘের শাড়ি-চুড়ি পরে
আসবে আমার কাছে
মেঘের খেয়ায় ভেসে যেতে;
তোমার এলোমেলো চুলে শ্বেত জুঁই সাজানো  থাকবে,
তুমিই যেন শুভ্র মেঘেদের রানী,
আমি তোমাকে নিয়ে দিক-দিগন্তে দেব পাড়ি
সীমান্ত পেরিয়ে কত অজানা দেশে-
কত প্রান্তর, কত তেপান্তর,
কত পাহাড়-পর্বত, কত সাগর
কত নদী ডিঙিয়ে;
আমার মনের আকাশ জুড়ে
থাকবে শুধু তুমি  শুভ্র মেঘ হয়ে 
অজস্র দেশ ভ্রমন করে আসবো ফিরে
কোনো এক পূর্ণিমা সন্ধ্যার পরে
পূর্ণিমা চাঁদের জোছনা মেখে;
জোৎস্নায় প্লাবিত আকাশ, বাতাস, মাটি,
আদিগন্তে পূর্নিমার হাসি;
তারারা মারবে উঁকি;
আমরা হৃদয়ের ক্যানভাসে আনন্দের তুলি দিয়ে আঁকবো ছবি;
সেই ছবি বিনিময় করবো আমি আর তুমি।



ধ্রুবতারা
মোঃ ইজাজ আহামেদ

আকাশে ধ্রুবতারা,
আমার মনের ঘরে উঁকি দিচ্ছে তোমার স্মৃতিরা,
আকাশের এই ধ্রুবতারা দেখে 
হাতে হাত রেখে পাড়ি দিয়েছিলাম নদী পেরিয়ে 
এক  প্রান্তরে,
দিগন্তরেখায় ঝুলছিল একফালি শশী,
হৃদয়ের আকাশে আনন্দের ধ্রুব তারা মারছিল উঁকি,
আমাদের বাগযন্ত্র আনন্দে আত্মহারা হয়ে 
পারছিল না কিছু বলতে,
শুধু শোনা যাচ্ছিল
হৃদের সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের শব্দ
নিস্তব্ধ গহীন রাতে চলমান ঘড়ির কাঁটার মতো,
সেই জোছনা প্লাবিত সবুজ প্রান্তরে নিস্তব্ধতার মাঝে 
সেই আওয়াজই কানে কানে বলে দিচ্ছিল মনের না বলা কথা
স্টেথোক্সেপ ছাড়া;
তোমার নিশ্চুপ মায়াবী রূপের কাছে
 তোমার মায়াবী চাহনির কাছে
ঐ চাঁদও  ম্লান  হয়ে যাচ্ছিল।


বসন্তের এক অপরাহ্নে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

বসন্তের এক অপরাহ্নে
বাড়ির ছাদে বসে
লিখছিলাম এক কবিতা;
হটাৎ কানে ভেসে এলো কোকিলের কুহু কুহু ডাক;
কোকিলের ডাক শুনে মনে পড়লো তোমার কথা;
তুমি শুনিয়েছিলে আমাকে মিষ্টি গান;
কী সুন্দরই না ছিল তোমার গলা!
মনে হয় তোমার চেয়ে বসন্তের কোনো কোকিলও
এত সুন্দর সুরালো গান গায়নি কখনও।
বাতাসে ভেসে আসছিল ফুলের সুগন্ধ;
কিন্তু তোমার শরীরের সুগন্ধ বসন্তের চেয়েও মধুর ছিল।
এই যে বসন্তে গাছে গাছে পুষ্প,
নির্মল আকাশে আনন্দে পাখিরা ডানা মেলে করে নৃত্য;
প্রকৃতি যেন উৎসবে মেতে উঠে নতুন সাজে;
কিন্ত তুমি যখন সাজতে
সবুজ, লাল, গোলাপি শাড়িতে,
কপালে নীল টিপ পরে,
দিতে চুলে পুষ্প,
মনে হয় বসন্তের সৌন্দর্যও তোমার কাছে ম্লান হয়ে যেত।


শীতের হলুদ শহরে তুমি আর আমি
মোঃ ইজাজ আহামেদ

শীতের হিমেল হাওয়া গুন গুন করে
গান করতে করতে হেঁটে যাচ্ছে;
সকলে গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনছে,
সোনা ঝরা রোদ্দুর উষ্ণ আদর করে যাচ্ছে;
পুলকিত হচ্ছে সকলে;
সরষে ফুলেরা বসন্ত উৎসবে
সজ্জিত রমণীদের মতো হলুদ পোশাক পরে নৃত্য করছে,
যেন কোনো উৎসব;
পুলকিত হচ্ছিল আমার মন;
খুব মিস করছিলাম প্রিয়তমা, তোমাকে;
তুমি যদি এখন থাকতে আমার সাথে
কতই না আনন্দের প্রবাহধারা বয়ে যেত মনের সমভূমিতে?
হারিয়ে যেতাম এই সরষে ফুলের নগরীতে;
হাতে হাত রেখে হেঁটে যেতাম ফুলের স্পর্শ ও গন্ধ মেখে;
তোমার বিন্যস্ত রেশমী কেশে 
গুঁজে দিতাম শীতের হাসি সরষে পুষ্পকে
আর তোমার পরনে থাকতো হলুদ রঙের ব্লাউজ-শাড়ি; 
কানে কাঁচা সোনার ঝুমকা দুল, গলায় হার, হাতে চুড়ি;
প্রজাপতিরা আসতো আমাদের স্বাগত জানাতে
আর ফটো তুলতাম দুইজনে স্মার্টফোনে;
তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডে যেতাম মেতে
আর আপলোড করা মাত্রই লাইক- কমেন্টের বন্যায় যেতাম ভেসে।



তোমার স্মৃতি
মোঃ ইজাজ আহামেদ

জানো প্রিয়তমা,
মনের পাণ্ডুলিপিতে তোমার নামে
কত কবিতা লিখেছি;
তোমার স্মৃতির অ্যালবম কত যতনে
আগলে রেখেছি;
সেই পাণ্ডুলিপির পাতা,
সেই অ্যালবমের পাতা
আদর মাখা হাতে উল্টে উল্টে দেখি
আর মনের আকাশে রোমান্টিসিজম দেয় উঁকি;
মনের অলিগলিতে হেমন্তের হলুদ পাতার ঝরে পড়ার মতো
রয়েছে তোমার সঙ্গে কাটানো সোনালী দিনগুলো
যেন হলুদ গালিচা
ভ্রমণপ্রেমীদের মতো, ক্যামেরাবন্দি প্রেমীদের মতো
আমাকে দেয় হাতছানি তা।



নস্টালজিক হয়ে পড়ি
মোঃ ইজাজ আহামেদ

আমি বসে আছি নদীর তীরে
স্রোতস্বিনীর প্রবাহধারা হেঁটে যাচ্ছে হেসে হেসে
আকাশ পরেছে নীল শাড়ি শুভ্র মেঘের ওড়না
পরেছে শুভ্র মেঘের গহনা
আর সে জলের আরশিতে দেখছে নিজেকে
কেমন লাগছে এই সাজে
তটের রুপালি কাশফুল তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে
অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে
আর হাতটা নাড়িয়ে টা টা দিচ্ছে
আহা কী অপরূপ দৃশ্য
কী আনন্দই না নিয়ে এসেছে
আমার মন খারাপের ঘরে
মনে পড়লো আমার প্রিয়তমার কথা
সেও এই আকাশের মতো নীল চুড়িদার আর সাদা ওড়না 
পরে খেয়ানৌকায় বসেছিল আর আমি মাঝি হয়ে
ভাটিয়ালি গান শোনাতে শোনাতে
পাড়ের কাশফুলের মেলায় গিয়েছিলাম নিয়ে
কতই না আনন্দধারা বইছিল মনের সমভূমিতে
বিন্যস্ত চুলে শুভ্র কাশফুল বুনে হাতে কাশফুল নিয়ে
কতই না ফটো তুলেছিল ও স্মার্টফোনে
আর সেলফিও তুলেছিলাম দুইজনে
আজও সেই স্মৃতির ধ্রুবতারা মনের আকাশে উদিত হলে
পড়ি নস্টালজিক হয়ে



হৃদয়ের কথা
মোঃ ইজাজ আহামেদ

চৈত্রের তারকাখচিত গগনে
আধফালি শশী দেখে
আমার স্মৃতির খাতায় লেখা
তোমার মধু মাখানো কথা
আমার মনে পড়ে।
চন্দ্র ও সহস্র নক্ষত্রখচিত আকাশের নিচে
তোমার বলা মিষ্টি কথাগুলো
মনে হতো কবিতা যেন;
শুনতো আকাশটা,
শুনতো বাতাসটা;
নির্মল সমীরণের ছোঁয়াতে,
নাতিশীতোষ্ণ মনোরম আবহাওয়াতে
জ্যোৎস্না স্নাত হয়ে
আমিও শুনেছিলাম অনাবিল আনন্দে।
শুধু নয় তোমার বলা কথাগুলো
আমি শুনেছিলাম তোমার হৃদয়ে লুকানো অব্যক্ত কথাগুলো
তোমার চোখের চাহনিতে,
তোমার মুখমন্ডলে উদ্ভাসিত ভাষা দেখে।


ঐ দেখ আকাশে রামধনু
মোঃ ইজাজ আহামেদ

ঐ দেখ, আকাশে রামধনু উঠেছে,
আমি তোমার জন্য ঐ রামধনুর রঙ দিয়ে
একটি ঘর  সাজাবো।
ঐ দেখ, আকাশের পথে মেঘবালিকারা হেসে বেড়াচ্ছে;
আমি তোমাকে নিয়ে মিশে যাবো তাদের দলে,
হেসে হেসে পাড়ি দেব  তাদের সাথে
কোনো সবুজের দ্বীপে
যেথায় থাকবে সবুজের সমাহার আদিগন্তে,
আকাশের নীল সাগরে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে যাবে,
যেথায় আমি হবো রাজা  আর তুমি হবে রানি
আর মেঘবালিকারা হবে তোমার সাথী;
মেঘের ভেলায় চড়ে আমরা পাড়ি দেব দিক- দিগন্তে
আর সুখের ভেলায় চড়ে আসবো ফিরে স্বপ্নের আবেশে।



তুমি পাশে আছো বলে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

তুমি পাশে আছো বলে
আমার মনের বীণায় তান বাজে।
তুমি পাশে আছো বলে
আমার মনের মহাসাগরে আনন্দের ঢেউ উঠে।
তুমি পাশে আছো বলে
আমার মন হৃদয়ের  আঙিনায় আদুরে আল্পনা আঁকে।
তুমি আছো বলে
আমার হৃদয়ের আকাশে একফালি পূর্ণিমা চাঁদ উঠে;
আমার মনের পৃথিবীকে জোছনাতে ভরিয়ে তুলে;
সেই জোছনাতে আমার মনের পৃথিবী আনন্দের প্লাবনে
প্লাবিত হয়ে উঠে।



তুমি চলে গেছ বলে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

তুমি চলে গেছ বলে
বসন্ত এলেও বসন্ত মনে হয় না।
তুমি নেই বলে
বসন্ত আমার মনে জাগে না।
তুমি চলে গেছ বলে
কোকিলের কুহু কুহুতানে মনে শিহরণ জাগে না।
তুমি নেই বলে
ফুলে ফুলে মধু আহরণে ব্যস্ত থাকা
ভ্রমরার গুঞ্জনে আমার হৃদয়ে আনন্দের জোয়ার আসে না।
তুমি ফিরে আসোনি বলে
শিমুল,পলাশ,কৃষ্ণচূড়া, আম্র,সরষে,
গোলাপ আমার মনকে আকর্ষণ করেনা।
তুমি আমার কাছে নেই বলে
ফাগুনের হাওয়া, ফাগুনের জোছনা,
মনোরম আবহাওয়া আমার হৃদয়ের আকাশে ভাসে না।
তুমি ফিরে আসোনি বলে
দিগন্ত রেখা আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে না।
তুমি চলে গেছ বলে
আমার মনের মহাকাশে বসন্ত আসে না।



প্রান্তরে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

বসন্তের কোন এক পূর্ণিমা সন্ধ্যাতে
তুমি ও আমি যাবো এক প্রান্তরে;
থাকবো বসে শুধু দুজনে
পূর্ণিমা চাঁদের জোছনা মেখে;
জ্যোৎস্না স্নাত হয়ে
দু চোখ ভোরে দেখবো দুজন দুজনকে;
নির্মল বাতাস   ছুঁয়ে যাবে আমাদেরকে;
কাটবে সময় অনাবিল আনন্দে;
অনাবিল আনন্দের জোয়ারে ভেসে যাবে হিয়া;
আমাদের এই শুভক্ষণের সাক্ষী থাকবে চন্দ্র তারা;
সাক্ষী থাকবে সহস্র তারকাখচিত নির্মল আকাশ;
সাক্ষী থাকবে জ্যোৎস্না স্নাত মৃদুমন্দ বাতাস;
তারাও হয়তো আমাদের দেখে করবে ঈর্ষা।



তোমাকে নিয়ে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

ইচ্ছেগুলো স্বপ্নকে ছুঁতে চায়,
তোমার আর আমার স্বপ্নগুলোকে এক করতে চায়।
আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আকাশের ধ্রুবতারা দেখে
প্রান্তর পেরিয়ে
তোমাকে নিয়ে  যাব এক তেপান্তরে;
খোলা আকাশের নিচে বসব দুজনে;
মিটি মিটি তারারা উঁকি মারবে আমাদের দিকে;
মৃদুমন্দ বাতাস আদরের ছোঁয়া দিয়ে যাবে;
হৃদয়ের অব্যক্ত কথাগুলো প্রাণখুলে বলবো দুজনে;
হৃদয়ের দরজা খুলে দেব তোমার জন্যে;
আমার মনের আয়নায় দেখবে নিজেকে,
আমি দেখবো নিজেকে তোমার মনের আয়নাতে;
আমাদের চোখের তারায় ভেসে উঠবে
তোমার আমার স্বপ্নগুলো;
মনের আঙিনায় রোপন করবো
ইচ্ছের গাছগুলো ;
চোখে চোখ রেখে
থাকবো দুজনে,
কাটাবো সময় প্রফুল্ল চিত্তে।
স্বপ্নের তরীতে চেপে
পাড়ি দেবো দুজনে স্বপ্নের দেশে।
ইচ্ছেগুলোর অনুরণন হবে
মনের আকাশে বাতাসে বারে বারে।



তুমি আসবে ফিরে
মোঃ ইজাজ আহামেদ 

আমি স্বপ্ন দেখি
তুমি আসবে ফিরে
আবার আমার কাছে; 
তুমি আসবে শ্রাবণের বৃষ্টিধারা হয়ে।

তুমি আসবে শরতের নীলাভ আকাশে শুভ্র মেঘ হয়ে, 
ভোরে হালকা শিশির ভেজা দুর্বার উপর চাদরের মতো বিছিয়ে থাকা 
শিউলি ফুল হয়ে,
শিউলি ফুলের সুগন্ধ মাখা 
মৃদুমন্দ বাতাস হয়ে, 
সূর্যের সোনালী আভার মতো নির্মল আলো হয়ে, নদীর তীরের হাওয়ায় আনন্দে নৃত্য করা কাশফুল হয়ে।

আমি স্বপ্ন দেখি তুমি আসবে ফিরে 
শীতের সকালে দুর্বাঘাসের ওপর পড়ে থাকা মুক্তোর মতো শিশির বিন্দু হয়ে, 
শীতের রুপালি কুয়াশা হয়ে, 
শীতের গোলাপ ও সরষে ফুল হয়ে।

তুমি আসবে ফিরে বসন্তের কোকিলের কুহু কুহু ডাক হয়ে, 
বসন্তের রংবেরঙের ফুল হয়ে, 
বসন্তের মুকুলের ঘ্রাণেভরা বাতাস হয়ে, 
তুমি আসবে ফিরে পূর্ণিমা রাতের জোছনা হয়ে।

 

তুমি আমার হবে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

তুমি আমার মহাকাশ হবে?
যে মহাকাশে আমি ছায়াপথ হয়ে ঘুরে বেড়াবো।
তুমি আমার ছায়াপথ হবে?
যে ছায়াপথে আমি কোন তারা হয়ে ঘুরে বেড়াবো
তুমি আমার আকাশ গঙ্গা হবে?
যেখানে আমি কোন নক্ষত্র হয়ে ঘুরে বেড়াবো।
 তুমি আমার সৌর জগৎ হবে?
 যেখানে তুমি হবে সূর্য 
আর আমি হবো গ্রহ,
আর আমি তোমার চারিদিকে ঘুরে বেড়াবো;
আমি আর তুমি পরস্পরের আকর্ষণে থাকবো।
তুমি আমার পৃথিবী হবে ?
আমি তোমার চাঁদ হয়ে থাকবো।
তুমি আমার আকাশ হবে?
আমি মেঘ হয়ে তোমার মাঝে ভেসে বেড়াবো;
আমি পাখি হয়ে তোমার মাঝে ডানা মেলে
আনন্দে উড়ে বেড়াবো;
তোমার মাঝে থেকে মেঘ থেকে 
বৃষ্টি হয়ে মাটিকে সিক্ত করবো।
তুমি আমার ফুল হবে?
আমি প্রজাপতি হয়ে তোমার কাছে উড়ে বেড়াবো।
তুমি ফুলের গাছ হবে?
আমি তোমার মালি হয়ে তোমার পরিচর্যা করবো।
তুমি আমার বসন্তের বাতাস হবে?
আমি ফুলের সুগন্ধ হয়ে তোমার সঙ্গে ভেসে বেড়াবো
আর সকলের মনকে জুড়িয়ে দেব এক অনাবিল আনন্দে।
তুমি আমার ফাগুনের পূর্ণিমা রাত হবে?
আমি তোমার জোছনা হয়ে 
চারিদিকে আলো ছড়াবো;
আর আমাদের দেখে
আমাদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে
কবিরা তাদের শব্দমাধুরী দিয়ে 
 সুন্দর সুন্দর কবিতা বুনবে।


শরতের আগমনে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

শরতের আগমনে নীল আকাশ, শুভ্র মেঘ আনন্দে সেজেছে,
সেজেছে নদীর তীর কাশফুলে;
হাসছে কাশফুল হাওয়ায় দুলে,
নৃত্য করে চলেছে সারা দিন ধরে;
নেই  ক্লান্তির চিহ্ন তার দেহে;
মাঝি নৌকা নিয়ে ভাসে স্রোতে
ভাটিয়ালি গান গেয়ে।


আমি  নিয়ে যাবো তোমাকে
নদীর তীরের শুভ্র কাশবনে
নৌকায় চেপে ভাটিয়ালি গান শুনতে শুনতে
আর সাদা মেঘ আকাশের নীল পথ বেয়ে
যাবে আমাদের সাথে;
তোমার শুভ্র দেহের পরনে থাকবে নীল শাড়ি,
নীল চুরি, নীল টিপ, রুপোর দুল, রুপোর শিঞ্জিনি
যেন শরতের  আকাশ
আর তার মাঝে তুমি এক টুকরো সাদা মেঘ;
সেখানে পৌঁছে তোমার বিন্যস্ত চুলে গুঁজে দেব কাশ;
আমরা খেলবো লুকোচুরি কাশবনে,
বলবো হৃদয়ের কথাগুলো একে অপরকে;
তুমি হেসে উঠবে তাদের সাথে,
তোমার সেই ভুবনভোলান হাসিতে
হারিয়ে যাবো রূপকথারই দেশে।



হলদে চাঁদ
মোঃ ইজাজ আহামেদ

হলদে পূর্ণিমা চাঁদ আকাশে,
মেঘেরা দূর দূরান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছে
তারই চার পাশে
জ্যোৎস্না স্নান করবে বলে
ঠিক যেমন নদীতে লোকেরা স্নান করতে আসে;
আমার গুরু মস্তিষ্ক দিলো জাগিয়ে
তোমার- আমার সেই স্মৃতিকে;
তুমি আর আমি গোলাকার চন্দ্রের নিচে বসে
কাটিয়েছিলাম সময় এক জোছনা প্লাবিত প্রান্তরে;
কত কথাই না বলেছিলাম দুজনে,
নির্মল  বাতাসের ঢেউয়ে
জ্যোৎস্না স্নাত হয়ে
কেটেছিল সময় অনাবিল আনন্দে
আর সাদা মেঘেরা জমায়েত করেছিল আদিগন্তে;
কিন্তু তুমি আমার আজ নেই পাশে;
এই দৃশ্য দেখে
আমার হলদে হৃদয়ের হৃদস্পন্দন  গেছে বেড়ে,
সুষুম্নাশীর্ষক পারছেনা নিয়ন্ত্রণ করতে;
হাইপোথ‍্যালামাস আমার হিয়ার নীল আকাশ থেকে
খসে পড়া দুঃখের নীল তারাগুলোকে পারছেনা নিয়ন্ত্রণ করতে;
আমার মস্তিষ্কে ডোপামিন ক্ষরিত হচ্ছে;
মনে হয় যেন রক্তের হিমোগ্লোবিনও  হিমোসায়ানিনে
পরিণত হয়েছে।



নীল পাখি
মোঃ ইজাজ আহামেদ

জানো প্রিয়,
আমার হৃদয়ের দরজা সর্বদাই খোলা রেখেছি তোমার জন্য;
আমি চাইনা তুমি এসে দরজায় করাঘাত করো
আর দরজা খোলার অপেক্ষায় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকো;
আমি চাই তুমি সরাসরি নির্দ্বিধায় হৃদয়ের ঘরে প্রবেশ করো;
আমি উজাড় করে দেব আমার হৃদয়ের নীল আকাশটা  তোমার কাছে।
তুমি নীল পাখি হয়ে উড়ে গেছ বহুদূরের অচিন দেশে;
আমি তোমার অপেক্ষায় দিন গুণী মনে মনে;
কেটে গেছে কত দিন, কত রাত, কত ঋতু;
তুমি আসোনি তবু;
বিষণ্ন লাগে তবু
আশায় দিন গুনি;
ওই যে নীল আকাশে শুভ্র তুলোর মত মেঘ ভাসে;
জানো, সেই শুভ্র তুলোর মেঘের ভেলায় আমি পাড়ি দিয়েছি 
কত অজানা দেশে তোমার খোঁজে
তবু পাইনি দেখা, ফিরে এসেছি শুন্য হয়ে বিষণ্ন মনে বারে বারে;
দেখতে না পাওয়ার আকুলতায় আমার হৃদয়ের দুঃখের  আগ্নেগিরি থেকে
নির্গত হয় বিষণ্নতার লাভা তোমার বিরহে।



আগুন
মোঃ ইজাজ আহামেদ

তোমার বিরহে
আমার বুকের ভেতর দাউ দাউ করে জ্বলছে
বেদনার আগুন
দুঃখের লেলিহান শিখায় জ্বলছে  মন
বিচ্ছেদের ব্যাথা বেদনায় পুড়ছে  হৃদয়
শুধু তোমার বিরহের আগুনেই নয়
ব্যর্থতার আগুনে পুড়ে হয়েছি ছারখার
ভুলতে পারি না ব্যার্থতার গ্লানি 
ভুলতে পারি না তোমার দেওয়া দুঃখের শ্রান্তি
তোমার  স্মৃতিরা আমার মনের মাঝে বারে বারে দেয়  উঁকি
হৃদয়ে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হচ্ছে ব্যর্থতা ও দুঃখের আগুন
জানিনা  কবে নিভবে এ আগুন
তবে যদি আবার মেঘ হয়ে  ফিরে আসো
মনের আকাশে আর অঝোরে বৃষ্টিপাত করো 
সেই আগুন শীঘ্রই নিভে যাবে 
হয়তো আমি ডানা মেলেছি  বৃথা স্বপ্নের আকাশে
যদি নাও আসো 
সময় ধীরে ধীরে সেই আগুন নিভিয়ে দেবে
তার শীতল বৃষ্টিধারা দিয়ে
সে ব্যর্থতাগুলো দূরে সরিয়ে দেবে
আর বাঁচতে শেখাবে নতুন করে।



মুছে যাক তোমার স্মৃতি
মোঃ ইজাজ আহামেদ

মেঘ-রোদ্দুরের শ্রাবণে
একলা বসে
ভাবি তোমার সঙ্গে কাটানো স্মৃতিগুলি।
তোমার সেই স্মৃতিগুলি আমার মনের মহাকাশে দেয় উঁকি,
হৃদয়ে দেয় ব্যাথা, বিষণ্ন করে মনকে;
আমি চাই না সেই স্মৃতির বইয়ের পাতাগুলি আঁকড়ে ধরে থাকতে,
আমি চাই সেই স্মৃতির পাতাগুলি
এই শ্রাবণের মুষলধারে
বৃষ্টিধারায় ধুয়ে মুছে যাক হৃদয় থেকে
ঠিক যেমন গাছের পাতা থেকে ধুয়ে মুছে যায় ধুলো বালি।


ভুলতে পারিনি আজও
মোঃ ইজাজ আহামেদ

হটাৎ করে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল ;
চোখ নামাতে পারিনি আমি,
কী অপরূপ সৌন্দর্য যেন!
যা আজও ভুলতে পারিনি;
পটলচেরা মায়াবি চোখ, ভ্রু ধনুকের মতো
 চুল স্নিগ্ধ ভ্রমর কালো,
ঠোঁট গোলাপের পাপড়ির মতো,
কন্ঠস্বর কোকিলের মত যেন,
মুক্তাঝরা প্রাণখোলা ভুবন ভোলানো হাসি,
দুধে আলতা গায়ের রং যেন।


বসন্তের এক সকালে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

বসন্তের এক সকালে 
ফাল্গুনের  সোনালি মিষ্টি রোদ্দুরে
আঙিনায় চা পান করছিলাম চেয়ারে বসে;
হাতে ছিল সংবাদ পত্র, চায়ের কাপে
চুমুক দিতে দিতে মগ্ন ছিলাম সংবাদ পাঠে;
হটাৎ করে অনতিদূরে থাকা রক্তিম ফুলে 
আবৃত শিমুল গাছ থেকে 
ফাগুনের নির্মল বাতাসে কানে 
ভেসে এলো কোকিলের কুহু কুহু ডাক, ডাক শুনে
মনে পড়লো তোমাকে;
তুমি আমাকে গান শুনিয়েছিলে
কী সুন্দর ছিল তোমার কন্ঠ!
শুধু তোমার গলার গানই নয়, তোমার মুখ থেকে নির্গত
কথাগুলো কী মিষ্টি ছিল!
মনে হয় এই ফাল্গুনের কোকিলের সংগীতও
তোমার সুরেলা গান ও কণ্ঠ ধ্বনির কাছে ম্লান হয়ে যেত।
এই যে নির্মল আকাশে বসন্তের সোনালি মিঠে রোদ্দুরে
প্রকৃতি ঝলমলে হয়ে উঠেছে,
মনে হয় তোমার রূপের কাছে হার মেনে যেত
এই ফাগুনের সোনালি মিষ্টি রোদ্দুরও।


ফাল্গুনের এক পূর্ণিমাতে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

তোমাকে নিয়ে যাবো ফাল্গুনের
কোনো এক পূর্ণিমা রাতে 
কোনো উপত্যকাতে।
চাঁদের আলো উপচে পড়বে উপত্যকাতে,
চাঁদের জ্যোৎস্নায় প্লাবিত হবে 
পুরো উপত্যকা।
চাঁদের জোছনা মেখে আমরা 
থাকবো স্বপ্নের আবেশে।
মৃদুমন্দ বাতাসে ভেসে আসবে
কোকিলের কুহু কুহু গান, কুহু কুহু সুরে
আকাশ বাতাস উপত্যকা মুখরিত হবে।
কুহু কুহু গান শুনে 
আমরা হারিয়ে যাবো রূপকথার স্বপ্নে।
পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া রক্তিম পুষ্পে 
স্বাগত করবে আমাদেরকে।
ফাগুনের হাওয়ায় ভেসে
আসা সৌরভ বিমোহিত করবে আমাদেরকে।
নদীর কলকল ধ্বনিতে আপ্লুত হয়ে
হারিয়ে যাবো রূপকথার দেশে।



স্বপ্ন বসন্তের জন্য
মোঃ ইজাজ আহামেদ

শীতে স্বপ্ন দেখেছি এই বসন্ততে
তোমাকে নিয়ে বের হবো ফাল্গুনের এক অপরাহ্নে;
হেঁটে যাবো পাশাপাশি দুজনে 
নির্মল আকাশের নিচে
না শীত না উষ্ণ মনরোম আবহাওয়াতে
পলাশ, শিমুল, আম গাছের ছায়াতে
ফাগুনের হাওয়ায় ফুলের সুবাস মেখে
প্রজাপতির মতো ডানা মেলে
ভ্রমরের মতো গুঞ্জনে।
তারপর হেঁটে যাবো তোমাকে নিয়ে
যব, গম, সরষে ভরা শস্য ক্ষেতের পাশ দিয়ে।
তোমার পরনে লাল আঁচলের সবুজ শাড়ি
হাতে সবুজ কাঁচের চুরি 
গলায় সুন্দর সোনার হার, পায়ে রুপার শিঞ্জিনী
কপালে নীল টিপ,
ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক,
 চুলে গোলাপ, শিমুল পুষ্প;
তুমি যেন নিজেই বসন্ত।
তোমার রূপসাগরে আমি হবো মুগ্ধ।
যেতে যেতে নামবে পূর্ণিমা-সন্ধ্যা
তখন পৌঁছে যাবো এক তেপান্তরে;
মনে হবে এই ভুবনটা 
তোমার আমার;
শুধু তোমার আমার।
আমরা থাকবো শুধু দুজনে,
কোকিলের কুহু কুহু তান শুনে
কাটাব সময় অনাবিল আনন্দে ক্ষণে ক্ষণে;
দেখবো কত রূপকথার স্বপ্ন তোমাকে নিয়ে।
আসবো ফিরে তোমাকে নিয়ে
হাতে হাত রেখে
ফাল্গুনের পূর্ণিমা রাতে তেপান্তর থেকে
পূর্ণিমা চাঁদের জোছনা মেখে।


গঙ্গা-পদ্মার তীরে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

গঙ্গা-পদ্মার তীরে বিকেলে আমি ভাবি বসে
তোমাকে একদিন বেড়াতে নিয়ে আসবো এখানে
যেথায় গঙ্গা হয়েছে বিভক্ত দুইভাগে-
পদ্মা ও ভাগীরথী নামে,
যেথায় সোনালী সূর্য রক্তিম থালা হয়ে ডুবে;
জেলেরা ঘরে ফিরে অন্ধকার নামার পরে;
ধূসর সকালের আগমন হলে তারা নৌকা নিয়ে
গঙ্গা -পদ্মার রুপালি শস্য তুলতে জলে ভাসে;
শস্য তুলতে তুলতে সময় যায় গড়িয়ে;
ধূসর সকাল বিদায় জানিয়ে যায় চলে;
পুব আকাশে ভোরের তারা হলুদ হয়ে হেসে উঠে;
গঙ্গা-পদ্মার পানির আয়নাতে সূর্যমামা মুখ দেখে
মাঝিরা ব্যস্ত হয়ে উঠে খেয়া পারাপারে।
তুমি আর আমি আসবো কোনো একদিন বৈকালে,
নৌকাতে বিচরণ করবো স্রোতে,
উৎফুল্ল হয়ে হাত ভেজাবো বারিতে
গোধূলির রবিকে হাতে ধরতে;
দেখবো চাষীদের রুপালি শস্য তুলতে,
আনন্দরা মহানন্দে আসবে আমাদের মাঝে;
সেই শস্য কিনে গোধূলি স্নান করে ফিরবো বাড়িতে
 সন্ধ্যার শেষের অন্ধকার আকাশের ডাকে।



তুমি আর আমি
মোঃ ইজাজ আহামেদ

আকাশের নীলে মেঘেদের খেলা,
দেখি সবুজ মাঠে বাতাসের আনাগোনা,
তুমি আর আমি পাশাপাশি বসে,
স্বপ্নেরা আসে আমাদের মাঝে,
তোমার সঙ্গে কাটানো মধুর স্মৃতিরা আবির্ভুত হয় মনে,
শত ব্যস্ততার মাঝে থাকতাম একসাথে;
আজও আছি বসে;
সারাজীবন কাটাতে চাই একসাথে;
কল্পনারা হাতছানি দিয়ে ডাকে বারে বারে;
সূর্যের মিঠি মিঠি আলোয় আকাশ, বাতাস, মাঠ হেসে উঠে;
পাখিরা আনন্দে নীল আকাশে ডানা মেলে
উড়ে যায় মেঘেদের সাথে;
আমরা মেঘের ভেলায় চলে যায় কোনো সাগরের ধারে;
নীল আকাশ, নীল সাগর 
তুমি আর আমি শুধু দু'জন;
সাগরের ঢেউ যেন হেসে কিছু বলতে চাই,
বাতাসটা ফিসফিস করে আমাদের কানে আনন্দের কথা বলে যায়,
রাতে চাঁদ তারা এসে দাঁড়াবে আমাদের পাশে;
চাঁদের জোছনা মেখে হারিয়ে যাবো কোনো রূপকথারই দেশে।



 নীল আকাশের নিচে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

 নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা
আমার মনে পড়ে তোমার কথা;
একদিন তুমি আর আমি 
দাঁড়িয়েছিলাম পাশাপাশি 
নীল আকাশের নিচে 
আর সাদা মেঘের ভেলা পাড়ি দিচ্ছিল দিক-দিগন্তে
আমাদের মাথার উপর দিয়ে;
কল্পনায় সেই মেঘের ভেলায় চড়ে পাড়ি দিয়েছিলাম স্বপ্নের দেশে;
অনাবিল আনন্দে
বলেছিলাম হৃদয়ের অব্যক্ত কথাগুলো একে অপরকে;
দুধে আলতা শরীরে তুমি পরেছিলে আকাশি রঙের শাড়ি,
পরেছিলে হাতে আকাশি রঙের চুরি;
মনে হয়েছিল তুমি যেন নীল আকাশ আর সাদা মেঘময়
ফিরছিলাম সেই সুখের দেশ থেকে সুখের ভেলায়।



এক পৃথিবী সুখ এনে দেবো
মোঃ ইজাজ আহামেদ

তোমাকে এক পৃথিবী সুখ এনে দেবো
তুমি শুধু আমাকে ভালোবেসে যেও।
তোমাকে এক সমুদ্র আনন্দের জোয়ার এনে দেবো
শুধু আমার পাশে থেকো।
তোমাকে রূপকথার দেশে নিয়ে যাবো
তুমি শুধু আমার কল্পনার সাথী হয়ো।
তোমাকে এক আকাশ ভালোবাসার মেঘ দেবো
তুমি সেই মেঘের বৃষ্টিতে স্নান করিও।
তুমি পাশে থাকলে আমার দুশ্চিন্তারা সাত সাগর তেরো নদী পাড়ে চলে যায়।
তাই শত ব্যস্ততার মাঝে আমার শুধু তুমি চাই।
তোমার মনের ঘরে আমাকে রেখো
আমি তোমার ইচ্ছের তারা এনে দেবো।
তোমার মনের দ্বার আমার জন্যে সবসময় খুলে রেখো
আমি ভালোবাসা হয়ে সবসময় তোমার ঘরে প্রবেশ করবো,
তোমাকে লাল গোলাপ আর পদ্ম এনে দেবো।
তুমি আমার পাশে থেকো 
পাখিদের মতো ডানা মেলে আকাশে উড়ে যাবো।
আমাকে সারা জীবন মনে রেখো
আমি পৃথিবীর সমস্ত সুখ আর ভালোবাসা এনে দেবো।
যদি দূরে থাকি মেঘের চিঠিতে তোমায় বার্তা পাঠাব
তুমি পড়ে আমাকে মনে রেখো, আমাকে ভালোবেসে যেও।
ভালোবাসার পরমাণুতে 
আমরা প্রোটন আর ইলেকট্রন হয়ে সারাজীবন থাকবো।



নাম তোমার স্বপ্ন
মোঃ ইজাজ আহামেদ

তোমার টানা টানা স্বপ্নালু চোখ,
গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট,
চোখে মুখে স্বপ্নের আবেশ ও দূরদৃষ্টি,
কপালে তোমার জ্ঞানের দ‍্যূতি,
মুখে তোমার ভোরের শিশিরের মতো স্নিগ্ধ হাসি,
রেশমের মতো কোমল উজ্জ্বল তোমার কেশরাশি,
গ্রীষ্মের সূর্যের কিরণছটার মতো তোমার দীপ্তি,
নাম তোমার যেমন স্বপ্ন,
তোমার মাঝে আছে কত স্বপ্ন!
তোমার সহজ সরল মন,
তোমার নম্র, ভদ্র চালচলন,
দয়ালু হৃদয় তোমাকে করেছে রাজর্ষি,
তুমি যেন এক স্বপ্নপরী।



মনে পড়ে তোমাকে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

আকাশে বেশ কিছুক্ষণ মেঘ-রোদ্দুরের লুকোচুরি,
পরক্ষণেই  অঝোরে বৃষ্টি,
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমি;
টিপ টিপ বৃষ্টি ধারা দেখে
আমি তোমার কথা ভাবি;
তুমি যেন মেঘ-রোদ্দুরের মতোই ছিলে,
ছিলে এই বৃষ্টি ;
কখনও হাসতে রোদের মতো,
কখনও থাকতে মেঘের মতো
দুঃখ ভরা মনে  উদাস হয়ে।
হাসতে হাসতে 
তোমার আর আমার মধ্যে হতো খুনসুটি,
 মন খারাপ  করে থাকতে  তুমি,
তুমি অঝোরে এই বৃষ্টির মতো দুই নয়নে 
বৃষ্টিধারা বর্ষণ করতে । 
আজ এই মুষলধারে বৃষ্টিধারা দেখে 
বড়ো মনে পড়ে তোমাকে।



প্রথম দেখাতে
মোঃ ইজাজ আহামেদ

তোমাকে প্রথম দেখেছি 
কিন্তু মনে হয় তোমাকে আগে থেকে চিনি
কোথাও যেন আগে দেখেছি
হয়তো কথাও বলেছি
তাই এতো চেনা চেনা লাগছে
তোমার আমার মধ্যে যেন একটা সম্পর্ক আছে
ঠিক যেমন লোহা আর চুম্বকের 
তোমার আর আমার মধ্যে একটা টান আছে
ঠিক যেমন সৌরজগতের সূর্য আর গ্রহের
মনে হয় যুগ যুগ ধরে তোমার অপেক্ষায় ছিলাম কোন ছায়াপথে 
তোমাকে প্রথম দেখতেই আমার মনের দেশে 
খুশিরা সূদুর থেকে পাড়ি দিয়ে ভিড় করেছে তোমার জন্যে
আমি সারাজীবন চাই কাটাতে 
তোমার সাথে
তোমাকে এক পলক দেখতেই আমার মনের আকাশে 
চাঁদের জ্যোৎস্না উপচে পড়েছে
তোমার মুখে কী যেন মধু আছে 
তোমার যেন স্বর্গীয় সৌন্দর্য আছে
ওই যে চাঁদ তারা সূর্য পৃথিবীর দিকে 
এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে কোটি কোটি কাল থেকে
আমারও ইচ্ছে করে 
সারাজীবন তোমার দিকে দেখে কাটিয়ে দিতে
আমি চাই সারাজীবন কাটাতে 
তোমার সাথে.........।



মেঘলা (ট্রায়োলেট কবিতা)
মোঃ ইজাজ আহামেদ

মেঘলা আকাশ,
মেঘলা আমার মন তোমার স্মৃতিতে।
ধূসর বাতাস,
মেঘলা আকাশ,
তোমার বিরহে  হৃদয়ের সাগরে বেদনার জলোচ্ছ্বাস।
তোমার স্বপ্নে প্রহর কাটে,
তুমি আবার রামধনুতে রাঙাবে আমার হিয়ার আকাশ।
স্বপ্ন এসে জানান দেয় তুমি আবার আসবে।



প্রতীক্ষায়
মোঃ ইজাজ আহামেদ

তোমার অপেক্ষায় বসে আছি এক তেপান্তরে
তুমি আসবে বলে,
আকাশের তারারা খসে পড়ছে আমার পাশে
তোমাকে স্বাগত জানাবে বলে,
থালার মতো গোলাকার হাসিমুখ চাঁদটা নেমে এসেছে আমার পাশে,
আমার ঘাড়ে হাত দিয়ে বসে আছে 
তোমাকে স্বাগত জানাবে বলে;
আমার মনের ইদ আবেগের প্রহর গুনে 
তোমার আগমনের  প্রতীক্ষাতে;
আমার মনের ইগো বলছে 
 গ্রাম, মাঠ, প্রান্তর পেরিয়ে তাকে আসতে হবে;
সময় লাগবে, ধৈর্য্য ধরো;
বলছে আমার সুপার ইগো
আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো;
 যদি সে না আসে কিছু মনে করো না যেন,
কোনো অসুবিধায় পড়েছে হয়তো;
পরক্ষনেই আবার বলছে আমার মনের সুপার ইগো  
অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছো,
করছো সময় নষ্ট;
এইভাবে সময় নষ্ট না করে কেরিয়ারটা তৈরি করো।


©® মোঃ ইজাজ আহামেদ 


*এই কবিতাগুলি কবির প্রকাশিত বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে*


মোঃ ইজাজ আহামেদ
মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

পরিচিতি: মোঃ ইজাজ আহামেদ (Md Ejaj Ahamed) একজন দ্বিভাষিক কবি, লেখক, সম্পাদক, সাংবাদিক, অনুবাদক,  শিক্ষক ও পিস অ্যাম্বাসেডর। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার অরঙ্গাবাদের মহেন্দ্রপুর নামক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯০ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তিনি পরিবারের ছয় ভাই বোনের মধ্যে বড়ো। পিতা-মোঃ সামসুদ্দিন বিশ্বাস যিনি কখনো স্কুলে যাননি কিন্তু গ্রামের কিছু শিক্ষিত ব্যাক্তিদের কাছে  পড়া- লেখা শিখেছেন। মাতা-মতিয়ারা বিবি তিনি চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন। মোঃ ইজাজ আহামেদ-এর শিক্ষাগত যোগ্যতা- ইংরেজি অনার্স, ট্রিপল এম.এ,  বি.এড, ডি. এল.এড। তিনি বেশ ২০০৮ সাল থেকে কয়েকটি বেসরকারি স্কুলে ও  কোচিং সেন্টারে ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন । ছোট থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। স্কুলে পড়াকালীন ক্লাসে প্রায় প্রথম হতেন, অবশ্য দুইবার তৃতীয় হয়েছিলেন। মাধ্যমিকে সুতি থানা এলাকায় তিনি  প্রথম হয়েছিলেন। ছোট থেকেই পারিবারিক আর্থিক প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে পড়ার পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যান। তাঁকে বিড়ি বেঁধে পড়াশুনা চালাতে হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি প্রথম কবিতা লেখেন। ডি এন সি কলেজে পড়াকালীন  কলেজের 'অয়ন' পত্রিকায় প্রত্যেক বছর তাঁর বাংলা-ইংরেজি কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হত। তাঁর বাংলা-ইংরেজি  কবিতা, প্রবন্ধ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, জার্নাল ও যৌথ কাব্যগ্রন্থে  প্রকাশিত হয়েছে (বাংলাদেশ, পাকিস্থান, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান, তুরস্ক, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, রোমানিয়া, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, তিউনিশিয়া, মিশর, ইটালি, বেলজিয়াম, কসোভো, পোল্যান্ড, আলবেনিয়া, গ্রীস, জার্মানী, স্পেন, লেবানন, ইরাক ইত্যাদি দেশ থেকে)। তাঁর কবিতা ২০টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে - আরবী, চীনা, কোরীয়, তুর্কী, ইতালীয়, আলবেনীয়, তাজিক, পোলিশ, হিন্দী, উর্দু,  রুশ, বসনিয়ান, কিরগিজ, ডাচ, জার্মান, পার্সি,  ইন্দোনেশীয়, সার্বীয়, বুলগেরীয়, ফিলিপিনো। একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে Discovery and the Golden peak of Improvement  এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের বইয়ে Exploring New Trends and Innovations in English Language and Literature নামক দুটি রিসার্চ পেপার প্রকাশিত হয়েছে।  তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ 'স্বপ্ন তরী', 'বাংলা সাহিত্য ও সিনেমায় গোয়েন্দা চরিত্র',  'মনের পাণ্ডুলিপি', 'হৃদ-ক্যানভাস', 'অন্তরের কাব্যকথা', নির্বাচিত কবিতা মানবতা ও শান্তির জন্য' ও 'পড়ন্ত সন্ধ্যা'।  তিনি আন্তর্জাতিক 'স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা'র সম্পাদক, 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর একজন সদস্য ছিলেন, বর্তমানে উপদেষ্টা মন্ডলী হিসেবে আছেন এবং কাদেরী টাইমস পত্রিকার উত্তরবঙ্গ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মাদার টেরেজা ফাউন্ডেশন- এর মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি। তিনি  ভারত ও বাংলাদেশের ফটো ও পরিচিতি সহ ১৯১ জন কবিদের কবিতার সংকলন 'কবিতার সাগর', ১৭১ জন কবির 'কবিতার অরণ্য' ও ৫০ জন কবির 'কবিতার আকাশ ' সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবাদিকতা করেন। তিনি নতুন ধারার  ইজাজীয় কবিতা (পনেরো পংক্তির কবিতা। পাঁচ পংক্তির তিনটি স্তবক। মিলবিন্যাস-রীতি হল - ক খ ক খ ক, ক খ ক খ ক, ক খ ক খ ক।) ও বিজ্ঞান কবিতা তৈরি করেছেন। তিনি কবিরত্ন, সহিত্যিকরত্ন, বঙ্গবন্ধু সন্মাননা, নূর মহম্মদ স্মৃতি সন্মাননা সহ অনেক পুরস্কার এবং বেশ কয়েকটি দেশের ইউনাইটেড নেশনস ও ইউনেস্কো স্বীকৃত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বিভিন্ন সন্মাননা ও সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন। তিনি সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন প্রদত্ত রাজা রামমোহন রায় স্মৃতি স্মারক সম্মান পেয়েছেন।
ইকরা ফাউন্ডেশন থেকে আইকন অফ পিস অ্যায়ার্ড, ইকরা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন ২০২২- এ বাংলাদেশ বেস্ট অ্যায়ার্ড ২০২২, এশিয়ান প্রেস সাহিত্য সম্মান ২০২২', বিদ্যাসাগর স্মৃতি সম্মাননা, বাংলাদেশ থেকে ১৮ বছর পূর্তি কবি মিলনমেলা ও কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য  সম্মাননা- ২০২২, নবকণ্ঠ সম্মাননা স্মারক, প্রতিভার উন্মেষ কবি সম্মাননা-২০২১, দৈনিক মানব বার্তা থেকে সম্মাননা, কাজাখস্থান থেকে ইন্টারন্যাশনাল লিটেরারি কম্পিটিশন 'লিটারারি এশিয়া - ২০২৩' সাম্মানিক ডিপ্লোমা পেয়েছেন, আল বাসাম ইউনিভার্সিটি অফ কালচার, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স থেকে সাম্মানিক ডিপ্লোমা, দ্যা প্যালেস অফ কালচার ইউনিভার্সিটি  ফর সায়েন্সস লিটারেচার আর্টস অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড পিস থেকে সাম্মানিক ডিপ্লোমা, আরবের ইন্টারন্যাশানাল রাইটার্স ইউনিয়ন ও এলিট ম্যাগাজিন থেকে সম্মাননা, ইরাকের আল ম্যাশ্রেক থেকে সম্মাননা,  মিশরের দ্যা ইজিপশিয়ান ইন্টারন্যশনাল অর্গানাইজেশন অফ অ্যাম্বাসেডরস ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান সায়েন্সেস থেকে কয়েকটি সম্মাননা, মরোক্কোর ইন্টারন্যশনাল একাডেমি অফ কালচারস থেকে সম্মাননা, নাইজেরিয়ার জেনেসিস ওয়ার্ল্ড রাইটার্স কমিউনিটি থেকে সম্মাননা, কলম্বোর ইনস্টিটিউট কালচারাল কলম্বিয়ানো থেকে সম্মাননা, ওয়ার্ল্ড লিটেরারি ফোরাম ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস থেকে সম্মাননা, আলজেরিয়ার 'লাজার ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ আর্টস্ অ্যান্ড পিস' থেকে সম্মাননা, কলম্বোর  ইনস্টিটিউট অব কলোমোবিয়ানা থেকে সম্মাননা, রোমানিয়ার ওয়ার্ল্ড লিটেরারি আর্ট ইম্প্রেশন আয়োজিত ইউনিভার্সাল পোয়েট্রি কাপ ২০২৩ -এ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন, চীন থেকে ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট পোয়েট্ অফ দ্য ইয়ার ২০২৪ হয়েছেন। মিশরের আলরোয়াদ নিউজ থেকে বিশ্বের ১০০ শিল্পীদের মধ্যে একজন অন্যতম ব্যক্তি হয়েছেন। তিনি তিউনিশিয়া, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ইত্যাদি বিভিন্ন দেশ থেকে আরও সান্মানিক ডিপ্লোমা সহ বিভিন্ন  সম্মাননা পেয়েছেন।
     তিনি যেসকল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের পদ লাভ করেছেন (পদবীসহ) : সম্পাদক- স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা, উত্তরবঙ্গ সম্পাদক - কাদেরী টাইমস,  উপদেষ্টা - 'আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ' পত্রিকা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক- জয় বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বাংলাদেশ)।
প্রেসিডেন্ট, মুর্শিদাবাদ জেলা - মাদার টেরেজা ফাউন্ডেশন, এডমিন - পুষ্পপ্রভাত নিউজ পোর্টাল,
মডারেটর-লন্ডন পোয়েটস্ ক্লাব( ইংল্যান্ড), মডারেটর ও অ্যাম্বাসেডর - ইন্টারন্যাশনাল লিটারেসি স্টাডি( বাংলাদেশ),  অ্যাম্বাসেডর- জেনিসিস ওয়ার্ল্ড রাইটার্স কমিউনিটি (নাইজেরিয়া), অ্যাম্বাসেডর-  'অ্যাসোসিয়েজিওন কালচারাল পার লা পেস এল উমানিতা' ( রোমানিয়া), অ্যাম্বাসেডর- 'ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাম্বাসেডরস একাডেমি' র সদস্য(মিশর)। অ্যাম্বাসেডর- 'ইকরা ফাউন্ডেশন' (জেরুজালেম),  'গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডরস অফ সাসটেইনেবিলিটি'র সদস্য ও সার্টিফাইড অফিসার (দুবাই), পিস অফ মেম্বার অফ 'ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস' (মিশর), সদস্য- 'ফেদার অ্যান্ড এক্সটেন্ডার হিউম্যানিটি একাডেমি' ইউরোপ এবং তুরস্ক শাখা, সদস্য- গ্লোবাল ফ্রেন্ডস ক্লাব, অ্যাম্বাসেডর ফর  ওয়ার্ল্ড পিস- ফাউন্ডেশন মারিয়া গ্লাডেজ, মেম্বার অফ ওয়ার্ল্ড স্পিরিচুয়াল হিউম্যানিটি অ্যান্ড পিস লিটেরারি অ্যাসোসিয়েশন, হিউম্যানিটেরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিলোসোফিকাল ম্যাগাজিন- এর এডমিন, ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর অফ ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনস অ্যান্ড মেম্বার অফ ওসার্টিভা সোশ্যাল মিডিয়া এডমিনিস্ট্রেটরস/ মডারেটরস কমিটি, অ্যান এজেন্সি অফ দ্যা সভ্রিন অনলাইন স্টেইট (নাইজেরিয়া), মেম্বার অফ ফারসালা একাডেমি ( গ্রীস), ইত্যাদি।





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url