কবিতা - দীর্ঘশ্বাস, কবি - গোলাম রসুল




দীর্ঘশ্বাস

গোলাম রসুল


আমার বাহুকে পাঠিয়ে দেবো আকাশের নাবিক করে 

শোকের দূরবীন থাকবে হাতে

আলো ফেলবে 


যে দেশটাতে কোনো দিন নেই 



দেখবে


রেশমি কাপড়ে এক সোনার মেয়ে হাওয়ার দোলনায় চেপে চলেছে



এক যুবক বন্দুকের বাট কামড়ে ধরে রেখেছে

তার বুক পৃথিবীর থেকে অনেক বড় 

তার হাতে ধরা ওটা আগুনের গ্রহ


প্রতিটি জীবন ওদের সূর্য 


হায় আমার আত্মা

ঠাসা কলকব্জা

আমার কল্পনার কাপড়ের কোনো সুতো নেই 

আমার হৃদয়ের মাংস শিশুপাখি 

কোনো পালক নেই 

শুধু কনুই থেকে এক দাঁড় বয়ে যায়



কনুইয়ের থেকে স্বপ্ন আঙুলের ডগায় 

রগরগে ফোলা হয়ে থাকে

ফেটে পড়ে

আর রক্ত পুঁজ আকৃতি দেয় জীবনের 



ফোঁটা যেভাবে ভাঙে উপসাগরে আমি সেই ভাবে কাঁদি 

আর জল পানের দৃশ্য হয়ে ওঠে নক্ষত্ররা



এক তাঁবু মহাকাশ


ইঁদুর কুয়োর গর্ত


সাপ এঁকেবেঁকে গিয়ে রাস্তা


যানবাহন মরা জোনাকির আলো 


মরদেহ যাত্রী


মেঘ আগুনের শিখা

জল লোহা

পিষে ফেলা বাতাস 

চুলের ছড় টানে


সৌন্দর্য টাটকা নীল

একটা বেহালা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে

নিশীথ বালিয়াড়ির শিরায় সময় 

নীল কল্লোলের সঙ্গে মিশে শিরার রক্ত পান করছে নেকড়ে চাঁদ



আমি স্বীকার করছি এটা স্বপ্ন

এটা কাচের মধ্যে ঠাসা

জানলা দিয়ে মুখ বের করে বমি করছে

আমি বমি করছি নৈঃশব্দ্যের মধ্যে গুলি আওয়াজ 



পিরানে বাঁধা দীর্ঘশ্বাস এক পোড়া রাজহাঁস

আমি আমার বাহুকে পাঠিয়ে দেবো আকাশের নাবিক করে


                 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url