একগুচ্ছ কবিতা - উমর ফারুক
কবিতা - বেড়ালের চোখ
উমর ফারুক
জ্বলে ওঠে আঁধারে বেড়ালের চোখ
ভয় পেয়ে খুকুমণি হয় সংকোচ।
পথ হারা হয়ে গেল পেরিয়ে উঠোন
দগদগে আগুনে পোড়া হলো বাঁশবন
পাঁচিলের ওপাশে কি ধুপধাপ পড়ে
বেড়ালের চোখ দেখে বুকে ভয় ধরে
আত্মার চোখ নাকি বেড়ালের বুকে
চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে মরে ধুকে ধুকে ।
খুকুমণি ছ'য়ে পা পাবে ভয় বটে
বড়রাও পেয়ে ভয় অযথা কেন ছোটে ?
অদ্ভুদ চোখ যেন আগুনের গোলা
পেয়ে টের মানুষের পাকিয়েছে দোলা।
একুশের রাত গুলো বড় ভূত্তুরে
দত্যিরা খুঁজে আনে লাশ মাটি খুঁড়ে।
বেড়ালের চোখ হয়ে রাতে ঘুড় ঘুড়
সন্ত্রাসী হয়ে ওরা করে ভাঙচুর
কবিতা - স্বর্গের প্রজাপতি
উমর ফারুক
আমার হস্ত প্রসারিত হয়েছে
অনেকগুলি মৃত্যুর কাছে
শব বাহিকার দারোয়ানের কাঁধ বরাবর
একটি স্বাধীন সূর্য ওঠে লাল।
বিপন্ন মানবতার উষ্ণ সংলাপ এড়িয়ে
কঠিন বিদীর্ণ বেদনায় বেদনায়
হতাশার জাল বুনেছি শিবিরের কুঠুরিতে।
রক্ত স্নাত জলদস্যুদের জন্য প্রস্তুত
মারণাস্ত্র হাতে নেয়া গোষ্ঠী —
পৃথীবির মাটিতে মৃত্যুর ছায় মেখে হেলেদুলে মাথা নাড়ল কাশফুল আর
গোলাপের পাপড়ি গুলো স্বর্গের প্রজাপতি।
কবিতা - বিজয়ের ঈদ
উমর ফারুক
বৃষ্টি ঝরে ঈদের আমেজ মন্দ নয়
তবুও মোদের রবের কাছে শির নত হয়
পাঞ্জাবি গায় ঈদগাহে যায় খুশির দিন
বৃষ্টি ঝরে পড়ুক তবু দিন রঙিন।
হাসি খুশি মুখ টা এবার দেখ চেয়ে
পাখিরা ওড়ে ঈদগাহে যায় গান গেয়ে।
ঝেড়ে ফেলে দাও যত আছে মন্দ ক্ষোভ
দাও সপে দাও হৃদয় তোমার বিবেক সব।
দু হাত ভরে দিয়েছে তিনি চেয়েছি যা
ছায়ার মত করুণা ঝরান আমার গা।
ঈদের খুশি ভাসছে হাওয়া যার কলরব
কবে হবে ঈদ নবীর দেশে তুমি বল রব।
খুশির জোয়ার তুর্কী আরব বিশ্ব জুড়ে
আল কুদসে স্বাধীণতার নিশান উড়ে।
মসিহ আবার এসেছে যেন ইমাম হয়ে
নবীর দেশে নিশান ওড়ে দিক বিজয়ে।
আমরা এবার বিভেদ ভুলে এক কাতারে
আনতে বিজয় ঈমান বুকে যাই সাঁতারে।
পরিচিতি
কবি উমর ফারুকের মূর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথ গঞ্জ ব্লকের রায়চক গ্রামে জন্ম। কবিতা লেখার পাশাপাশি তিনি প্রবন্ধ ও ছোটো গল্প লেখেন। লেখালেখির জগতে তরুণ তুর্কী লেখকদের মধ্যে ইনি অন্যতম মুখ। দৈনিক পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। ইনি ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখি ও সাহিত্য চর্চার সাথে জড়িত। মাসিক পত্রিকা "নাবিক" তার হাতে খড়ি।এর পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদ পত্র ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ২০২২ সালে কলকাতা বইমেলায় "বন্ধ জানালার ওপারে" নামক শীর্ষ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন সাহিত্য অনুষ্ঠানে সম্মানিত হন।
No comments