উমর ফারুক-এর একগুচ্ছ কবিতা
অভিযান
উমর ফারুক
সন্ধে হয়েছে
শীত ও শিশিরের মতো তুমিও
আমার স্পর্শ কাতর চোখ মেলে ধর
আমি ভূখন্ডের সবুজায়ন মেলে ধরি।
সন্ধ্যার সমিয়ানা টাঙিয়ে
ঘুমাচ্ছে নগরের পাখিরা,
চোখ জুড়ানো সর্ষে গোলাপ শিউলি ফুল
জুঁই রজনী গন্ধা ও নানা রঙের মসৃণ গাদা।
তোমার জন্য
একটি বিশেষ শক্তি আমি নিচ্ছি ।
এবং আগুনের যন্ত্রণাক্ত ক্ষত দেখেও
শুরু করছি বৈপ্লবিক অভিযান।
এই পৃথিবীতে একজনও এমন নয়,
যে সন্ধ্যার সামিয়ানা টাঙিয়ে ঘুমাচ্ছেনা।
শিক্ষার সমাধি সৌধ
উমর ফারুক
শিক্ষার শিরদাঁড়া সমাজের এক ক্ষয়িষ্ণু শিলা
প্রথাগত শিক্ষার আবর্তে নির্মিত হয়
হারিয়ে যাওয়া শিক্ষার সমাধি সৌধ ।
তুমি উঠে দাড়াও,
যে যুগে শিক্ষায় শিক্ষায় বিপ্লব ঘটেছিল
সে যুগের প্রত্যয় নিয়ে উঠে দাড়াও ।
নির্বিকার পাথরের ওপর ক্ষয়িষ্ণু লিপি
আমাদের শিরদাঁড়া সোজা করে রেখেছে।
সমুদ্র গুপ্ত কিম্বা অশোকের
ধূসর পাণ্ডুলিপি খুঁজে পায়—
কয়েকটি সভ্যতার ইতিহাস ।
কিন্তু কৃত্রিমতার চাদরে
ঢেকে ফেলা কেন শহরের প্রান্তে প্রান্তে
নির্মিত শিক্ষার সমাধি সৌধ।
শিক্ষা বাঁচাও
উমর ফারুক
পথের ওপারে ওরা ,
তাকে ফেলে দিয়ে চলে গেলো
বুকে গাঁথা যন্ত্রণা আর আহাজারি!
হৃদয়কে সিক্ত করছে অশ্রু,
তাদের হাতে এক ক্ষুরধার ছুরি
তারা সভ্যতায় নিষ্ঠুর কসাই।
যে জাতী শিরদাঁড়া বেয়ে উঠবে
সে শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়ে
তারা একটা ক্ষত চিহ্ন এঁকে দিচ্ছে ইতিহাসে।
পানশালায় গ্লাসে চুমুক!
মাতালের বচন যদি জাতীর বচন হয়
তাহলে কি করে জাতির মেরুদণ্ড সোজা থাকবে?
লোভোনীয় চোখ দুটি
শিক্ষার আলো দেখে ঝলসে গেলো।
ওদিকে জ্বলছে নাগরিক সভ্যতার মানুষ।
No comments