কবিতা - একটু আলোর জন্য, কবি - সৈয়দ হুমায়ুন রাণা
একটু আলোর জন্য
সৈয়দ হুমায়ুন রাণা
তোমার শুকনো-রুক্ষ মনের মরুভূমিতে
কখনও কেউ পারেনা ফোটাতে ফুল;
নদী যদি সাগরে না মেশে
সেই তো ভুল ---সেই তো ভুল।
ভ্রমরের গুনগুন ফুলের চারিপাশ ঘিরে
মধু খেয়ে চলে যায় -----
জন সমুদ্রের ভীড়ে;
প্রেমের চিহ্নটা যদিও ওগো লাল
সমাজের চোখগুলো বড় কালো;
কেউ দেখাও একটু আলো ---
তোমার শুকনো রুক্ষ মরুভূমিতে
ফুটতো লক্ষকোটি ফুল;
বাতাসের ঘ্রাণে ছড়িয়ে যেত প্রেমের গন্ধ
গায়েও পাখি গান, ঝলমলে আকাশে
সূর্য দিত আলো.......
পরিচিতি
সৈয়দ হুমায়ুন রাণার জন্ম ১৯৬৭ সালের ১লা মে। মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত খোশবাসপুর গ্রামে।বাবা সৈয়দ মতীন হায়দর।পেশায় ছিলেন শিক্ষক।মা আয়েশা বেগম। কবি/সাহিত্যিক পরিবারে বড় হওয়া।বাবা ছিলেন কবি।মা-বাবার অনুপ্রেরণায় রাণা সাহিত্যের প্রতি ঝোঁকেন।কবিতা দিয়েই সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। তারপর গদ্য চর্চা করেন।তাঁর প্রথম উপন্যাস "হঠাৎ দ্যাখা সেই মুখ"জেলার বিখ্যাত সংবাদ পত্রিকা কান্দীবান্ধবে প্রকাশিত হয়।১৯৮৪সাল। তারপরে পরেই লেখেন, মুক্তির স্বাদ,পথে হলো দেরী, লৌকিক অলৌকিক,নিরাশা। অপ্রকাশিতভাবে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। সেনাবাহিনীর সবুজ উর্দি পরার খুব শখ ছিল। সেই কঠিন শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনেও রাণা লেখালেখি ছাড়েননি। কিছুটা বাধা পেতে হয়েছিল। তিনি কিশোর ভারতী পত্রিকায় "গায়ক গাছের সন্ধানে"একটা গল্প লিখে সাড়া ফেলেছিলেন।"কখন দেখি"নামে ছড়াও লিখেছিলেন, কিশোরদের জন্য। বহরমপুর থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় পত্রিকা সময়ে বহু গল্প লিখেছেন। কবি /সম্পাদক উৎপলকুমার গুপ্ত লেখালেখিতে উৎসাহ জোগাতেন।ছবিরন্ঞ্জন মজুমদার সম্পাদিত পত্রিকা মুর্শিদাবাদ নাগরিক কন্ঠে "বন্দর"নামে একটি উপন্যাস ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়। সমকালের জিয়নকাঠি প্রকাশনী থেকে দুটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়।হিজল গাঁয়ের বধূ এবং সেদিন দুজনে। সম্প্রতি রাঙামাটি প্রকাশনী থেকে কিশোর উপন্যাস অভিশপ্ত আদম প্রকাশিত হয়েছে।লেখক সৈয়দ হুমায়ুন রাণার উপন্যাসের সংখ্যা এগারোটি। তিনি সতেরটি বসন্ত সেনাবাহিনীতে কাটিয়ে এসে বর্তমানে কলিকাতা পোর্টট্রাস্টের অধীনে চাকরিরত। সময়াবসরে উপন্যাস, গল্প, কবিতা লেখেন।আজ পর্যন্ত ছোটো বড় বহু পত্রিকায় লিখে চলেছেন।


খুব সুন্দর