একগুচ্ছ কবিতা, কবি-বাবুর আলি
চিত্রা -ধার
বাবুর আলি
সব পাতা সব দিন খোলা জায় না,
লুকিয়ে থাকে মস্তিষ্কের কোনে
ভেসে ওঠে হঠাৎ জাগে মনে।
মাকে মনে পড়ে বাবাকেও
হারানো শৈশব রঙ চটা ছবি,
নেহ মমতার উষ্ণ পরশ
আঁখি জেগে রয় উষ্ণ সরস।
নিদ্রাহীন নিঝুম নিথর রাত
পৃথিবীতে আমি বড় একা
কত পথ হল চলা, কত কিছু হল দেখা,
কিছু সফলতা কিছু ব্যর্থতা
পাওয়া না পাওয়ার ব্যাথা,
খুঁজে ফিরি আপনারে আপনজন মাঝে
ভালোবাসা হীন বাসার অন্তরে
যা ছিল সঞ্চয় দিয়ে দিনু অকাতরে
প্রত্যাশার শেষ নেই।
আহত হৃদয়ের খোঁজ জনক জননীরে
পৃথিবীতে তৎসম আর কিছু নেই।
অপেক্ষায় অনাগত কাল,
অনাদি অনন্ত এক দেশে
সব পথ যেথা এসে মেশে।
মনে রবে কিনা রবে আমারে
সে প্রত্যাশা নাই,
বিচিত্র পৃথিবীর সামান্য জানি
জানার আকাঙ্খা নিয়ে
অজানায় নিতে হবে ঠাঁই।
মায়ার বাঁধন বড় দায়,
সব চেয়ে ভালো
বাবুর আলি
এটাই সবচেয়ে ভালো সময়
ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করার।
অতীতের শিক্ষা সমৃদ্ধ ক্ষন
ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপন।
এই লোকটা সবচেয়ে ভালো বন্ধু
যে এখনো আমার সঙ্গে আছে,
অনেক আপদ জড়ানো পথ
নির্ভীক পথিক সে, এখনো সঙ্গে আছে।
সবচেয়ে ভালো কাজ সেটা
অন্যের মুখে ফোটায় হাঁসি,
বাঁচা ও বাঁচাবার লাগি
আত্মত্যাগ মেহনত রাশি।
দুঃসময় ধৈর্যের পরীক্ষা গার
পরিহাস করে যাই তারে
আলোক পথের সন্ধানে
আন্দোলনের গর্ভে যাত ভাই বোনে
ডাক দিয়ে যাই বারে বারে।
নিদ্রাবেশ
বাবুর আলি
ঘুম কোথায় পালিয়ে গেছে
পাখা ঘুরছে গরম হওয়া মাখা,
মৃত প্রায় গাছের শাখা।
বর্ষা হারিয়েছে পথ পাহাড়ের দেশে
বৃষ্টিহীন হালকা মেঘ ফেরে ভেসে ভেসে।
ঘুম নয় ঘুমের আবেশে
ভাবতে ভাবতে ঘুমাই,
ঘুমাতে ঘুমাতে ভাবি
চলে যাই অজানা কোন দেশে।
একটা নদীর রঙিন জল
চারপাশে নরনারী করে কোলাহল।
খুব দুঃখ চোখে মুখে,
কেউ যেন নেই শুখে!
ছাত্র মেধ যোগ্য সেথা
পরীক্ষার প্রহসন
মেধার মানদণ্ড, ধন।
শিক্ষকের নেই সম্মান,
যোগ্যরা পথে ঘোরে
পায়না সম্মান ,
এমনি সে দেশের বিধান,
প্রকৃতি ক্রদ্ধ সেথা, বৃক্ষ ছেদ 'নে
জলাশয় লোপ পায়
কংক্রিটের বনে,
চিকিৎসক, শিক্ষক সমাজ বন্ধু চয়ন
অসাধু চক্রের দীপ্ত বিচরণ
স্বাস্থ্য হারা সর্বহারা, ব্যর্থ প্রয়াসে
উজান -তরী বেয়ে চলে
সমাজ পরিবর্তনের আসে।
No comments