কবিতা - এক ফোটা জল ও জীবন, কবি - হরিপদ দাস
এক ফোটা জল ও জীবন
হরিপদ দাস
আকাশে নেই মেঘ নেই বৃষ্টি।
প্রতিদিন বেড়ে চলে উষ্ণতা,
কখনো ৪০ ডিগ্রী কখনো তার উর্ধ্বে।
হারিয়ে যাবে প্রকৃতি
হারিয়ে যাবে বৃক্ষ, হারিয়ে যাবে পরিবেশ।
হারিয়ে যাবে কত মানব জীবন,
হারিয়ে যাবে কত পশু পাখির জীবন।
জল নেই ,জল নেই ,পড়ে যাবে হাহাকার,
জলের অভাবে হারিয়ে যাবে বৃক্ষ, হারিয়ে যাবে জীব।
আমরা সভ্যজগতের থেকেও
ভুলে গেছি মানবতার কথা।
গ্রীষ্মের গরমে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পথচারীদের জন্য
রাস্তার দু'ধারে জল কল গুলো বসানো রয়েছে।
আমরা প্রতিদিন দেখতে পাই কল থেকে অনবরত জল বয়ে চলেছ, আমরা চোখে দেখেও কলটাকে বন্ধ করি না।।
জল আমরা অপচয় করছি, জলটা আমাদের অমূল্য সম্পদ যা হীরা মানিক জহরত থেকে অনেক মূল্যবান।
এক ফোটা জল একটা জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে।
আমরা জানি একজন মানবের দেহে আসি শতাংশ জল থাকে তবুও আমাদের প্রতিদিন চার লিটার জলের প্রয়োজন।
এমনি আমরা বাড়িতে বৃক্ষরোপণ করি তাকেও প্রতিদিন বৃক্ষের গোড়ায় জল দিতে হয়, তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
জল ছাড়া কোন জীব বাঁচে না জল ছাড়া কোন প্রাণী বাঁচে না।
আজ থেকে আমরা শপথ করি, জল অপচয় করব না।
জল প্রাণ জল জীবন।।
পরিচিতি:
হরিপদ দাস, পিতা কার্তিক চন্দ্র দাস ও মাতা ঊষা রানী দাস, জন্ম ১৯৪৬ সালে ২৫শে ডিসেম্বর বরিশাল জেলায়। একমাস বয়সে পিতা মাতার কোলে জলপাইগুড়ি জেলায় ধুপগুড়িতে আসেন। এখানেই শৈশবে বড় হওয়া। ধুপগুড়ি হাই স্কুলের পড়াশুনা করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পর্যন্ত। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখিতে উৎসাহ ছিল। সাংসারিক চাপে লেখালেখি চাপা পড়ে যায়। এরপর ধুপগুড়ি বইমেলা কেন্দ্র করে লেখালেখি পুনর্জন্ম ফিরে পান। তাঁর একক বই 'এক সুতোয় বাঁধা ' ১২ ই নভেম্বর ২০২৩ সালে তাঁর চতুর্থ গ্রন্থটি প্রকাশ পায়।।
No comments